রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে একই রশিতে মা ও ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা বেতাগীতে লাশ দেশে আনার কথা বলে তিন লক্ষ টাকা আত্মসাৎ আদালতে মামলা পুলিশে চাকরি দেওয়া নামে অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগে যুবদল নেতা গ্রেফতার হাট ইজারা আদায়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুপক্ষের উত্তেজনা:ককটেল বিস্ফোরণ পটুয়াখালীতে কোষ্ট গার্ডের হাতে অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল ও পলিথিন জব্দ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে মিয়ানমারের অপরাধ চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ উপায় : প্রধান উপদেষ্টা পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা দোহা থেকে সরাসরি রোমে যাবেন বাঙলা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির নতুন নেতৃত্বে সাদি ও জামিল বাঙলা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত ৭ম আন্ত:বিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫ তাড়াইলে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির ৪১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

বেতাগীতে লাশ দেশে আনার কথা বলে তিন লক্ষ টাকা আত্মসাৎ আদালতে মামলা

আরিফুর রহমান সুজন:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫৭৫১ বার পঠিত

সৌদিতে কর্মরত সন্তানের লাশ এনে দেয়ার কথা বলে মায়ের কাছ থেকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের উত্তর করুণা গ্রামের মো: মোশারফ খানের পুত্র জসিম খান ও তার সহযোগীরা। এ বিষয়ে জসিমসহ ৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন একই বাড়িতে বসবাসরত সৌদি প্রবাসী মৃত রুহুল আমিনের মাতা রোশনা বেগম।

আসামিরা হলেন, করুণ গ্রামের মো: মোশারেফ খানের পুত্র ১. জসিম খান (৩৫), ২. শুভ খান (৩০), মো: মোশারেফ খানের স্ত্রী ৩. রেহানা বেগম (৫০) ও আমজেদ আলী খানে পুত্র ৪. মো: মোশারেফ খান (৬০)।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় , বরগুনার বেতাগী উপজেলার উত্তর করুণা গ্রামের মো: মোশারেফ খানের পুত্র জসিম খান দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদিআরব কর্মরত আছেন। সে সুবাদে একই আঙ্গিনায় বসবাসরত রুহুল আমিনকে সৌদি নেয়ার কথা বললে রহুল আমিন ও তার পরিবার রাজি হয়। পরবর্তিতে পরিবারের লোক জমি বিক্রি ও বিভিন্ন ধার দেনা করে ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে জসিমের মাধ্যমে ২০২৩ সালে সৌদি আরব যান রুহুল আমিন। চুক্তি মোতাবেক কাজ ও পারিশ্রমিক পাওয়ায় জসিমের প্রতি রুহুলের পরিবারের আস্থা আরও বেড়ে যায়। বিগত ২ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি: মামলার ১নং আসামী জসিম খান ২নং আসামি শুভ খান ও ৩নং আসামি রেহানা বেগমের মাধ্যেমে রুহুল আমিনের মাকে জানান, সৌদি আরব বসে রুহুল আত্মহত্যা করেছে। ওর লাশ সৌদির একটা হাসপাতালে সংরক্ষিত আছে। একমাত্র পুত্রের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মা রোশনা বেগম পাগল প্রায়। বুকের মাণিকের লাশটা অন্তত ফেরত আনার জন্য ও লাশটা এক নজর দেখার জন্য পরিবার যখন অধৈর্য হয়ে পড়েন, ঠিক সেই সুযোগে প্রতারক জসিম অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে মৃত রুহুলের মাকে জানান, লাশ আনতে হলে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে। পুত্র শোকে কাতর মা বিভিন্নভাবে পুনরায় ধার-দেনা করে ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ সকাল সাড়ে দশটার সময় জসিমের প্রেরিত অন্যান্য আসামিদের হাতে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা তুলে দেন। টাকা নেয়ার পর কয়েক মাস অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে দেখে মৃত রুহুলের মা জসিমের পরিবারের লোকজনের সাথে দেখা করতে গেলে তারা তাকে এড়িয়ে চলেন। লাশ এখনো কেনো আসছে না? এমন কথা জিজ্ঞেস করলে জসিমের লোকজন কোনো সদুত্তর দিতে পারছিলেন না। এদিকে পুত্র কেনো আত্মহত্যা করলো? লাশ এখনো আসছে না কেনো? এমন নানা প্রশ্ন রুহুলের মাকে প্রতিনিয়ত কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিলো।

প্রায় দীর্ঘ ৪ মাস পর ২৫ এপ্রিল শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে অন্য একজনের মাধ্যমে মৃত রুহুলের নিথর মরদেহটি তার নিজ বাড়িতে আসে। তবে রুহুল আমিনের মৃত্যু রহস্যটি রহস্যই রয়ে গেছে। প্রতারক জসিম রুহুলের মৃত্যুর সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে পুত্রশোকে মুহ্যমান রুহুলের মাসহ স্বজনরা মনে করছেন। তারা টাকা ফেরত পাওয়াসহ প্রতারকদের শান্তি দাবি করছেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..