শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ সব সময় জাপানের বন্ধুত্ব ও অবদান স্মরণে রাখবে: ড. ইউনূস ‘ঢাকায় শুরু হচ্ছে অ্যাস্ট্রো-অলিম্পিয়াড’ বেতাগীতে জামায়াত ইসলামের ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচারনা ও স্যালাইনসহ ঔষধ বিতরণ নান্দাইলে ট্রান্সফরমার সহ চোর চক্রের ৩ সদস্য আটক মুরাদনগরে সেই নারীর ঘটনায় চার আসামীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর বেতাগীতে স্লুইস নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় কৃষকদের দুর্ভোগ : ফসল আনাবাদী পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এ বছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে পাশে রাখুন : তারেক রহমান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি

টিএমএসএস এনজিও’র হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫
  • ৫৭৬৫ বার পঠিত

ঝালকাঠি শহরের টিএমএসএস এনজিও কর্তৃক হয়রানিমূলক মামলার পরিত্রাণে  সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ী। সোমবার ১৯ মে দুপুরে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ফায়ার সার্ভিস মোড়স্থ কনকচাঁপা ডিজিটাল মিডিয়ার প্রোপ্রাইটর মোস্তফা কামাল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, “আমি একজন সামান্য আয়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ঝালকাঠী ফায়ার সার্ভিস মোড়ের আব্দুল গণি মিয়ার পুত্র মো: নুর ইসলাম, টিএমএসএস এনজিও’র একটি লোন গ্রহন করেন। উক্ত লোনের বিপরীতে আমাকে দ্বিতীয় জামিনদার বানিয়ে আমার নিজ নামীয় ব্যাংকের একটি ব্লাংক চেক ও ব্লাংক ফরমে স্বাক্ষর নেয়। নুরুল ইসলাম লোনের সমস্ত টাকা পরিশোধ করার পর আমার চেক, জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবিসহ যাবতীয় কাগজপত্র উক্ত সংস্থায় জমা থাকে। পরে জানতে পারি আমাকে না জানিয়ে জামাকৃত চেকের বিপরীতে নুরুল ইসলাম তার শ্যালীকা সাখাওয়াত হোসেন সোহেলের স্ত্রী আরিফা আক্তার এর নামে পূর্বের জমাকৃত কাগজপত্র দ্বারা পূনরায় আরেকটি লোন গ্রহণ করেন, যাহার প্রকৃত জামিনদার আমি নই এবং আমার স্বাক্ষরও নেয় নাই, এমনকি আরিফা আক্তারকে আমি চিনি না। উক্ত লোনদানকারী টিএমএসএস এনজিওর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা  লোন গ্রহিতা আরিফা আক্তারকে লোন আদায়ে নোটিশ না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালী আদালতে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করে। সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী যদি লোন গ্রহীতা মৃত্যুবরণ,  নিরুদ্দেশ,পাগল হয় অথবা তার পরিবারের কোন সদস্যকে খুঁজে না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে জামিনদার তাকে খুঁজে পেতে সাহায়তা করতে বাধ্য থাকবে। উক্ত সংস্থা উপরোক্ত কোন আইন অনুস্মরণ না করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার ব্লাংক চেকটি ডিজ-অর্নার করে আমার নামে মামলা দায়ের করে, যা অবৈধ আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি আরো জানান, লোন গ্রহীতা আরিফা আক্তার নিজ সন্তানসহ পিতার গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করেন। প্রথম জামিনদার আরিফার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন সোহেল তার মা সহ  পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে শহরের স্ট্যান্ড রোডে বসবাস করে। লোন গ্রহীতা আরিফার ও তার স্বামী প্রথম জামিনদার সোহেল শহরে থাকা সত্ত্বেও এনজিও কর্তৃপক্ষ কিভাবে তাদের নামে মামলা না করে ২য় জামিনদার আমার নামে মামলা দায়ের করে। আমি মনে করি, লোন গ্রহীতা ও প্রথম জামিনদারের যোগসাজসে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে  আমার সহজ সরলতার সুযোগ নিয়ে এবং ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করার জন্য  উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলাটি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোস্তফা কামাল আইন বিচার ও প্রশাসনের নিকট প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন।
এব্যাপারে টিএমএসএস এনজিও কর্তৃপক্ষ জানান, “আমরা আইন অনুসারণ করে মামলা করেছি। লোন গ্রহীতা ও প্রথম জামিনদারকে খুজে না পেয়ে দ্বিতীয় জামিনদারের নামে মামলা দিতে বাধ্য হয়েছি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..