বরগুনার আমতলী উপজেলায় আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমতলী উপজেলা আ.লীগের ক্রীড়া সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধার দাপট ও প্রভাব জনগণকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। তিনি এখনো আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন, এমনকি আ.লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ইউনিয়ন পরিষদেই গোপন মিটিং করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী জানান নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগর কর্মকান্ড ও গোপনে আওয়ামী লীগ কে সংগঠিত করার জন্য তিনি সদর ইউনিয়ন পরিষদ কে ব্যবহার করে যাচ্ছেন, এবং ৫ই আগষ্টের পরবর্তী সময়ে এসেও তিনি ক্ষমতার দাপট দেখান।
বিএনপির লোকজনদেরকে বঞ্চিত করছেন ইউনিয়নের বিভিন্ন সুবিধা থেকে, জেলে কার্ড থাকা সত্তেও তাদেরকে সরকারি বরাদ্দের চাল দেয়া হয়না, বিজিডি সুবিধা পান তার নির্বাচন করা লোকজন, এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন নেতা জানান তার রিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে তিনি হুমকী ধামকি দিয়ে বেড়ান এবং তাকে আমতলী বিএনপির নেতারাই সেল্টার দিয়ে রাখেন। সম্প্রতি কয়েকদিন আগে বরগুনা জেলা বিএনপির অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলার ৭০ নম্বর আসামী হওয়ায় নিজেকে আত্নগোপনে রেখেছেন।
আমতলী সদর ইউপি ৯ নং ওয়ার্ডের জেলে মজনু মোল্লা বলেন, আমি গভীর সমুদ্রে মাছ স্বীকার করি, আমার জেলে কার্ড রয়েছে, মৎস অফিসের তালিকায় আমার নাম থাকা সত্তেও তিনি আমাকে চাল দেননি।
ভুক্তভোগী কালম গাজী বলেন, আমরা গরীব মানুষ, আগে আমরা সরকারের সকল সুবিধা পেতাম কিন্তু মিঠু মৃধা চেয়ারম্যান হওয়ার পরে তিনি আমাদের নাম কেটে দিয়েছে, জেলে তালিকায় নাম থাকা সত্তেও আমাকে চাল দেন না, চাল আনতে গেলে বলে তোরা আমার নির্বাচন করোনি তাই চাল পাবি না।
অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়নের আ.লীগের সচ্ছল পরিবারবারকে তিনি পরিষদের সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু অসহায় গরীব পরিবার যারা তার নির্বাচন করেনি তাদেরকে কিছুই দেয়া হচ্ছে না। সচ্ছল এবং চেয়ারম্যানের নিজস্ব কয়েকজন সুবিধাভোগী লোকের নাম উল্লেখ করে তাদের নাম কর্তনের জন্য আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, এই মিঠু মৃধা সকল অপকর্ম পুলিশের সামনেই করে যাচ্ছে কিন্তু কি কারনে পুলিশ তাকে ধরছে না তা আমরা বুঝতে পারি না, এছাড়াও আমতলী থানার ওসি আ.লীগের কারো বিরুদ্ধে মামলা দিতে আসলে তিনি বিভিন্ন অযুহাতে মামলা নেন না।
এ বিষয়ে জানতে মিঠু মৃধার সাথে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।