জেলার সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউপির পাটুখালীতে জেল নং ৭১ মৌজা পাটুখালী ১১ ও ৩৫২ নং খতিয়ানে জমিজমা নিয়ে গত র্দীঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল স্থানীয় স্ব-মীল ব্যবসায়ী মো: নুরুল হক কাজী’র সাথে একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বর্তমান ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: শেরাজুল ইসলামের সাথে ।
সরজমিনে গেলে জানা যায়, প্রায় ত্রিশ বছর আগে স্থানীয় বাসিন্দা মৃত মো: ইউনুস হাওলাদারের কাছ থেকে ১৭৩০ ও ১৭৩১ দাগে এক কাঠা বা তিন সতাংশ জমি ক্রয় করেন ব্যবসায়ী নুরুল হক কাজী এরপর উক্ত জমিতে স্ব-মীল ও দোকান ভাড়া দিয়ে আসছেন এবং একই স্থানে নিজ পরিবারের নামে ইউপি সদস্য শেরাজের কাছ থেকে ১.৩ শতাংশ জমি ও একটি ঘর পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকায় ক্রয় করে তাও প্রায় ১৭ বছর দোকান ভাড়া দিয়ে আসছেন উক্ত ব্যবসায়ী দম্পতিরা । ব্যবসায়ী নুরুল হক কাজীর দাবি আমার ক্রয় কৃত জমিতে গোপনে চালাকির সাথে সরকারি জমি সহ দখল বুঝিয়ে দিয়েছে ইউপি সদস্য শেরাজ হাওলাদার যা অমি বিভিন্ন ভাবে জেনেছি র্বতমানে আমাকে সরকারি জমি দিয়ে তিনি রেকডিও সম্পত্তি ভোগ দখল করতে চান তাতে আমি বিরোধীতা করি এর ফলে শেরাজ প্রতিবছর বিভিন্ন ভাবে আমার জমিতে যবর দখল করার চেষ্টা করে আসছে এবং আমার দোকানে সামনে একটি ঘর নির্মান করেছে এখন আর ও একটি দোকান ঘর আমার স্ব-মীলে সামনে তুলেছে তার ভাগিনা পুলিশ সদস্য পান্না এতে আমার ব্যবসায়ের ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং আমার একটি ঘর ধুমরে মুচরে ফেলেছে আমি এর সঠিক বিচার চাই এবং আমার জমির সঠিক পরিমাপ করে শান্তিতে বসবাস করতে চাই বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান।জানা গেছে পুলিশ সদস্য পান্না বরিশাল সদরে পুলিশ লাইনে র্কমরত আছেন।
স্থানীয় বাসিন্ধারা জানান, নুরুল হক কাজী নিজ জমিতে মার্কেট করারা সিদান্ত নিলে বাধা হয়ে সামনে আসেন ইউপি সদস্য শেরাজ হাওলাদার,দাবি করেন উক্ত স্থানে তার জমি এখনো আছে এ বলে সম্পন্ন ঘায়ের জোড়ে কোন প্রকার আলোচনা ও শালিস ব্যবস্থা ছাড়াই রাতে আধারে একটি দোকান ঘর নির্মান করেন শেরাজ হাওলাদার । নিজ জমিতে যবর দখল করে ঘর নির্মান করায় জমির বর্তমান মালিক স্থানীয় গন্যমান্য ব্রাক্তিদের বিষয়টি জানালে তাতে কোন ফল না পেয়ে পরে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী নুরুল হক কাজী ও তার পরিবার । ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রানিং ইউপি সদস্য হওয়াতে পেরে উঠেনি সে সময় থেমে যায় মার্কেটের কাজ, এরপর বেশ কিছু বছর পার হাবারপর আবার মার্কেটের কাজ ধরতে চাইলে এবার বাঁধা হয়ে সামনে আসেন ইউপি সদস্য শেরাজের ভাগিনা বরিশালে র্কমরত পুলিশ সদস্য কনাস্টবল মো: পান্না তিনিও দাবি করেন তার জমি এখানে আছে । এক র্পযায়ে জমির কাগজ ও পূবের বিক্রয় কৃত জমির সঠিক পরিমাণ করে রেকডিও জমি বুঝে দিতে বলেন জমির মুল মালিক ইউনুসের র্বতমান ওয়ারিশগন ও ইউপি সদস্য শেরাজেকে এতে শেরাজ অপরাগত প্রকাশ করেন যার ফলে নিরুপায় হয়ে আবারও থানায় লিখিত আভিযোগ করেন ভোক্তভোগী মো: নুরুল হক কাজী ।
থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রথমে সরজমিনে যায় এবং কোন প্রকার ঘর উঠাতে বা দাঙ্গা না করতে অনুরোধ করেন ইউপি সদস্যকে এবং স্থানীয় শালিস মেনে দেন । উল্লেখ ব্যবসায়ী নুরুল হক কাজীর পারিবারিক ক্রয় কৃত জমির চারদিকের তিন দিক সরকারি জমি (পূবে ঢাকা কুয়াকাটা মহাসড়ক ও দক্ষিণে কুকুয়া নদী এবং উত্তরে বেড়িবাধ যেখানে গ্রামিন সড়ক রয়েছে ) শালিসগন জমির তিনদিকে সরকারে জমি থাকায় জমির র্বতমান দখলকৃত ক্রয় মালিককে সরকারের জমিতে সিমানা পিলার দেয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন এবং পরে জমির পরিমাণ করে সঠিক সিদান্তর কথা জানান । শালিস দের কথা অনুযায়ী ব্যবসায়ীর পরিবার পটুয়াখালী পানি উন্নায়ন র্বোড ও সড়ক জনপথের সিমানা পিলার পোতার আবেদন করেন ,সড়ক ও জনপথ ভিবাগ উক্ত আবেদন গ্রহন করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিখিত আদেশ দেন যার সাড়ক নং ৮৮১ তারিথ ৩০/৪/২৫। ঈদুল আযাহা উপলক্ষে উক্ত সিমানা পিলার দেবার কাজ বিলম্ব হলে প্রতিপক্ষ শেরাজ ও তার ভাগিনা পুলিশ সদস্য কাউকে কিছু নাবলেই গত ১০-৬-২৫ তারিখ ঘায়ের জোড়ে লাঠিয়াল বাহিনী নেয়ে ব্যবসায়ীর জমি যবর দখল করে এবং আবারও একটি ঘর নির্মান করে এসময় ব্যবসায়ীর একটি ঘর ধুমরে মুচরে ভেঙ্গে ফেলে । সার্বিক বিষয়ে তাতক্ষণিক ৯৯৯ ফোন কেরেন জানানো হলে পটুয়াখালী সদর থানার এসআই মোজ্জামেল অভিযুক্ত শেরাজকে থানায় ডাকলে তিনি বলেন তিনি শলিসদের কথায় ঘর র্নিমান করেছেন বলে জানান এবং দখল কৃত জমিটি নিজের বলে দাবি করেন । এ সময়ে এসআই মোজ্জামেল হোসেন শালিস ও চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামন টিটুকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন ঘর উঠাতে বলেন নি বলে পুলিশকে জানান । মিথ্যা তথ্য ও ঘায়ের জোড়ে র্নিমান করা ঘরটি ভেঙ্গে ফেলতে বলেন পুলিশ এবং জমির সঠিক পরিমান পূর্বক জমি বন্টন করার কথা বলেন । এ সময় ভাগিনা পুলিশ সদস্য পান্না তার বিরোধিতা করেন বলেন আমার যায়গাতে আমি ঘর উঠাইছি তবে তিনি কেনো জমির কাগজ বা মালিকানা দেখাতে পারেনি পুলিশ সদস্যদের এবং কি সিমানা পিলার দেবার পর পুলিশ কাজ করতে বললে তিনি তা মানতে রাজি নন বলে জানান,তিনি বলেন যখন জমি মাপা হবে তখন তিনি জমি ছেরে দিবেন বলে দাবি করেন ।