ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা একেবারে পূর্ব সীমান্তে অবহেলিত জনপদের নাম রাজগাতী ইউনিয়ন । যে জনপদে উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত জনপদ হিসাবে চিহ্নিত। যে জনপদের লোকজন শিক্ষা চিকিৎসা সহ মৌলিক অধিকার থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত। এমপিও ভুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসাবে রয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ে একমাত্র কাশিনগর উচ্চ বিদ্যালয়। ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুর্ব দরিল্লা হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও পাছ দরিল্লা সফুরিয়া আলিম মাদরাসা। এ ইউনিয়নে কোন কলেজ নেই। যোগাযোগ বঞ্চিত এক জনপদের নাম রাজগাতী ইউনিয়ন। ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় বাইশ মৌজা গ্রাম হিসেবে খ্যাত আব্দুল্লাহ পুর বনাটি। যেখানে অধিবাসীরা সভ্যতায় এগিয়ে গেলেও উক্ত জনপদ অনেকাংশে পিছিয়ে রয়েছে। উপজেলা সদরে যেতে হলে কালীগঞ্জ বাজার, মুশুলী ভায়া চৌরাস্তা হয়ে সাত সাগর পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদর নান্দাইলে যেতে হয়। ফলে অধিবাসীদের এক দিকে আর্থিক ব্যয় পাশাপাশি মুল্যবান সময় নষ্ট করতে হয়। প্রায় পাঁচ বছর আগে উলুহাটি ব্রীজ হইতে আউটারগাতী বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ শুরু হলে ও কর্তৃপক্ষের শিথিলতায় আজও কাজ শেষ হয়নি। ফলে দুর্ভোগের মাধ্যমে অধিবাসীদের জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। তাছাড়া বনাটি গাংগাইল পাড়া আরেক বিচ্ছিন্ন জনপদ। যে জনপদের অধিবাসীরা নানাভাবে বঞ্চিত। তাদেরকে উপজেলা সদর যেতে হলে বিড়ম্বনার অন্ত নেই। বিগত কয়েক বছর পুর্বে কর্মসৃজন প্রকল্পের অধীনে খলাপাড়া সিএন্ড বি রোড হইতে কুচিয়ালি খাল পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা হয় ফলে জনগণ যাতায়াত করতে সুবিধা হয় কিন্তু গাংগাইল পাড়া পর্যন্ত মাঝে কুচিয়ালি খাল রয়েছে।
যে খালটি জনপদকে বিভক্ত করে রেখেছে। ২০১৯ খ্রি: ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি ব্রীজ স্থাপনের জন্য নান্দাইল উপজেলা পি আই ও অফিস থেকে সমীক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে ও অদ্যবধি তা আলোর মুখ দেখেনি। ফলে বনাটি গাংগাইল পাড়া লোকজন এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারেনি। অথচ এ ব্রীজটি ও গাংগাইল পাড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার হলে মাত্র ত্রিশ মিনিটে উপজেলা সদরে যেতে পারে। নইলে ঘন্টার পর ঘন্টা লেগে যায়। এ পাড়ার বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো,মুসলিম ভুইয়া জানান, সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও আমরা তা থেকে বঞ্চিত। উক্ত রাস্তাটি সংস্কার হলে এ অঞ্চলের অধিবাসীদের হালে পানি পেত। তাছাড়া অধিবাসীরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। উক্ত জনপদে যেন সভ্যতার আলো স্পর্শ করে সে জন্য প্রশাসন সহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ প্রসংগে খলাপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাবেক হেলথ ইন্সপেক্টর মো,ময়েজ উদ্দিন মিয়া জানান, ১৯৯১ সনে মরহুম আনোয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী সংসদ সদস্য থাকা কালীন এ এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম ফয়েজ উদ্দিন ভুইয়া চান মিয়া ও আব্দুর রাশিদ মাষ্টার রাস্তাটির কাজ করান । এর পরে আর কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বিগত ২০১৯ সালে কর্ম সৃজন প্রকল্পের অধীনে কান্দা পর্যন্ত নামকাওয়াস্তে সংস্কার হয়। বর্তমানে এলাকাবাসী রাস্তাটি পাকাকরণ সহ ব্রিজ স্থাপনে সহযোগিতা কামনা করেন।