কুমিল্লার মুরাদনগরে সোহেল মিয়া নামের এক মাদক সম্রাট ও তার সহযোগীকে ইয়াবাসহ ধরে পুলিশে দিয়েছে জনতা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার পাইকারী ব্যবসা পরিচালনার ফলে স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে তার নাম হয়ে উঠে মাদক সম্রাট সোহেল।
বুধবার রাতে মুরাদনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাগেরকান্দি তিতাস এলাকায় মাদক সম্রাট সোহেল ও তার সহযোগী কাউসার আহমেদকে স্থানীয় গ্রামবাসী ইয়াবা সহ আটক করে মুরাদনগর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৮ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়
আটককৃত মাদক সম্রাট সোহেল মিয়া (৩২) নাগেরকান্দি গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ও অপরজন মাদকসম্রাট সোহেলের প্রধান সহযোগী কাউসার আহমেদ(২৭) ডুমুরিয়া গ্রামের জুলু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সোহেল দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মাদক ব্যবসায় ও মাদক সেবন করে এলাকার নারীদের উক্ত্যপ্ত ও নির্যাতন করে আসছিল। তাকে সবাই এখন এলাকায় ইয়াবা সম্রাট সোহেল নামে চেনে। তার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অপর মাদক ব্যবসায়ী কাউছারও তার চাচা সাবেক ইউপি সদস্যের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় করে আসছিল। তার নামেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তাদের প্ররোচনায় পড়ে এলাকার অনেক উঠতি বয়সীর ছেলেরাও মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী তাদের অনেকবার সতর্ক করার পরেও তারা গোপনে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়রা সোহেলের নিজ বসতঘর থেকে ইয়াবা সেবনকালে ৪৮ পিছ ইয়াবাসহ সোহেল ও কাউছারকে আটক করে। পরে তাদেরকে মুরাদনগর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। মাদক নির্মূলে এলাকাবাসী একজোট হয়ে কাজ করছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মুরাদনগর থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, সোহেল এবং কাউসারকে স্থানীয় গ্রামবাসী ইয়াবা সহ আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে তাদেরকে সেখান থেকে গ্রেফতারপূর্বক মুরাদনগর থানায় মাদক মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতের প্রেরণ করা হয়েছে।