রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে প্রয়াত সাংবাদিক মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত টেন্ডার ছাড়াই খানা প্লেট তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ তাড়াইলে সেবার অঙ্গীকারে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত তাড়াইলে ওসির বিশেষ তৎপরতায় মাদক জুয়া চুরি প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে সাধারণ জনগণ করিমগঞ্জে বিএনপি’র ৩১ দফা বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মোরেলগঞ্জে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্মৃতি ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন আমতলীতে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর চোখে মরিচের গুড়ি, স্বামীর বর্বর নির্যাতন! দুর্ঘটনা রোধে তরুণদের উদ্যোগ, ৩৭ কিলোমিটার সড়ক পরিষ্কার বাংলাদেশকে মাথা তুলে দাঁড় করানোর রূপরেখা দিয়েছেন তারেক রহমান”— প্রভাষক ফকির রাসেল আল ইসলাম আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসা ইউএনওকে রক্ষায় ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে মানববন্ধন

১৬ ডিসেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের জন্মদিন

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬২২৩ বার পঠিত

১৬ ডিসেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার হাজিপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে তার অসামাণ্য বীরত্বের জন্য ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভুষিত করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শাহীদ হন তিনি। সেদিন তিনি একাই লড়াই করে বাঁচিয়ে দিয়েছেন সহযোদ্ধাদের প্রাণ। দিবসটি পালনে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
মোস্তফা কামালের পিতা হাবিলদার মো: হাবিবুর রহমান ও মাতা মালেকা বেগম। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর স্ত্রীর নাম পিয়ারা বেগম। ছোট বেলা থেকেই স্কুলের পড়াশোনার চেয়ে ভালো লাগতো সৈনিকদের কুচকাওয়াজ ও মার্চ করা। নিজেও স্বপ্ন দেখেন সৈনিক হওয়ার। ১৯৬৭ সালে কাউকে কিছু না বলে পাকিস্থান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ক্রমশই স্বাধিনতার দাবিতে সারা দেশ উত্তাল হতে থাকে। ১৯৭১ সালে মোস্তফা কামাল ২৪ বছরের যুবক। ৭ মার্চ জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে আন্দোলিত হন তিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বাধিনতা যুদ্ধের ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েন বীরদর্পে। ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল সিপাহি মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে ১টি মুক্তিযোদ্ধাদের দল ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার দিকে এগিয়ে আসা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ঠেকানোর জন্য আখাউড়ার দরুইন গ্রামে অবস্থান নেয়। সংখায় বেশি ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকাবাহিনীর সাথে মোকাবেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের ছিলো অদম্য মনোবল। ১৮ এপ্রিল সকাল থেকেই আকাশে মেঘ ছেয়ে রইল। ১১টার দিকে শুরু হলো প্রচন্ড বৃষ্টি। একইসাথে শত্রুর গোলাবর্ষণ। মুক্তিযোদ্ধারও পাল্টা গুলি ছুড়তে শুরু করল। শুরু হলো সম্মুখ যুদ্ধ। মেশিনগান চালানো অবস্থায় এক মুক্তিযোদ্ধার বুকে গুলি লাগল। মুহুর্তের মধ্যে মোস্তফা কামাল এগিয়ে এসে চালাতে লাগলেন স্টেনগান। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আধুনিক অস্ত্র ছিলোনা। সংখায়ও অনেক কম তারা। আর পাকিস্থানি সৈন্যরা সংখ্যায় ছিলো বেশি। ভারি অস্ত্র শস্ত্র সজ্জিত তারা। হয় সামনা সামনি যুদ্ধ করে মরতে হবে, নয় পিছু হটতে হবে। কিন্তু পিছু হটতে হলেও সময় দরকার। ততক্ষণ অবিরাম গুলি চালিয়ে শত্রুদের আটকিয়ে রাখতে হবে। কে নেবে এই মহান দ্বায়িত্ব? এমন সময় আরোএকজন মুক্তিযোদ্ধার বুকে গুলি বিঁধল। ততক্ষনে মোস্তফা কামাল সকল সহযোদ্ধাদের সরে যেতে বল্লেন। পরিখার মধ্যে সোজা হয়ে চালাতে লাগলেন স্টেনগান। মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ছেড়ে যেতে না চাইলে তিনি আবারো সবাইকে নিরাপদে যেতে বলেন। অবিরাম গুলি চালাতে থাকেন তিনি। তার গোলাবর্ষণে শত্রুদের থামকে যেতে হয়েছে। মারা পড়েছে বেশ কয়েকজন পাক সৈন্য। ততক্ষণে দলের অন্য সদস্যরা সাবধানে পিছু হটেছেন। এক সময় মোস্তফা কামালের গুলি শেষ হয়ে যায়। হটাৎ করেই একটি গুলি লাগে তার বুকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। মৃত্যুবরণ করেন মোস্তফা কামাল। তার এমন বীরত্বের কারণে সহযোদ্ধাদের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। দরুইনের মাটিতে সমাহিত করা হয় জাতির এই শ্রেষ্ঠ বীরকে। তিনি আমাদের গর্ব ও গৌরব।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..