শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুরাদনগরে ভূমি নথি জালিয়াতি প্রমাণিত, বিচারহীনতায় বেপরোয়া চক্র মুরাদনগরে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে সহস্রাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা মুরাদনগরে বাঙ্গরা বাজার থানাকে উপজেলায় রূপান্তরের দাবিতে দুই ইউনিয়নে পৃথক সমাবেশ মুরাদনগরে স্কুলছাত্রী সোহাগী হত্যায় বাবাসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দেশব্যাপী আলোচিত আমতলীর সেই খাওয়ার ঘটনায় শোকজ নোটিশ আমতলীতে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পা বেঁধে শিশু নির্যাতন, থানায় মামলা আদ্ব দ্বীনের ভয়াল রাত: গর্ভবতী মা ও নবজাতকের জন্য সতর্কবার্তা: সাংবাদিক নাহিদ প্রিন্স বাঙ্গরা বাজার থানাকে উপজেলায় রূপান্তরের দাবিতে জোরালো সমাবেশ মুরাদনগরে মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৬ মৃত্যু

মুরাদনগরে ভূমি নথি জালিয়াতি প্রমাণিত, বিচারহীনতায় বেপরোয়া চক্র

রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭৫১ বার পঠিত
মুরাদনগরে ভূমি নথি জালিয়াতি প্রমাণিত, বিচারহীনতায় বেপরোয়া চক্র--- সংগৃহীত ছবি

★জালিয়াতির পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয়দের ক্ষোভ, বিরোধীর জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে চক্রটি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ভূমি অফিসের নথিপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে জমি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ তদন্তে জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বরং বিচারহীনতার সুযোগে চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে এবং বিরোধীর জমি দখলে নিতে নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুলুবাড়ি মৌজার ৪৬৬ ও ৪৭০ দাগের (বর্তমান হাল দাগ ১০২০) ৯০ শতক জমির মধ্যে ৪৮ শতক ফারুক আহমদ খোকনসহ তিনজনের কাছে বিক্রি করেন মৃত মোবারক আলী সরকারের বড় মেয়ে সেজদা খানম। অবশিষ্ট ৪২ শতক জমি মোবারক আলী সরকারের স্ত্রী মনজুমা খানমের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। খতিয়ান নম্বর ৪৪৪, ডিপি ৩৪৭।

অভিযোগ রয়েছে, ফারুক আহমদ খাকন ও সহযোগীরা অবশিষ্ট ৪২ শতক জমির ওপর দৃষ্টি দিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে খতিয়ান পরিবর্তন করেন। দীর্ঘ তদন্তের পর প্রমাণিত হয় যে জমা খারিজটি ভুয়া মাঠপর্চার ভিত্তিতে করা হয়েছে।

গত ২৪ জুলাই মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাসান খান ৯৫ নং কুলুবাড়ি মৌজার দাগ সূচিতে সাবেক ৪৬৬ ও ৪৭০ দাগ বহাল রাখার নির্দেশ দেন এবং জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি ৪৫৬/২০২২-২০২৩ নম্বর জমা খারিজ বাতিল ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত ফারুক আহমদ খাকন জালিয়াতির দায় স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং লিখিত মুচলকাও দেন।

তবে প্রশাসনিক তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বর্তমানে ওই চক্র ভুয়া মাঠপর্চা ব্যবহার করে বহাল রাখা জমা খারিজকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার আদালতে মামলা দায়ের করেছে এবং প্রতিপক্ষকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, প্রশাসনিকভাবে জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তি না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দাবি করেছেন, দ্রুত কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ফারুক আহমদ খাকনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মুরাদনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাসান খান বলেন, কাগজপত্র জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পর ফারুক আহমদ দায় স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন। বিশেষ বিবেচনায় তাকে ক্ষমা করা হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..