রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মোরেলগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ ভূঁইয়ার দাফন সম্পন্ন মোরেলগঞ্জে জাকের পার্টির জনসভা ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত বিএনপিসহ কয়েকটি দলের ‘জুলাই সনদে’ দ্বিমত আছে—রংপুরে সারজিস আলম তাড়াইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষ: নারী আহত, থানায় অভিযোগ শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার সুযোগ নেই: ইসি আনোয়ারুল বেসরকারি শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন ঢাকাস্থ বরগুনা জেলা সাংবাদিক সমিতির নির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী জেলা বিএনজিপির ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন তাড়াইলে প্রথমবারের মতো গণসংযোগ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় খেলাফত মজলিসের এমপি প্রার্থীর ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: সিইসি

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী রক্তের অক্ষরে লেখা : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ৬০৩০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি ও মৈত্রী রক্তের অক্ষরে লেখা। এ মৈত্রী অবিচ্ছেদ্য। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সাথে ভারতের অবদানের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।’

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও ভারতের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. মো. ফজলে আলীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মমতাজ হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সাবেক রাষ্ট্রদূত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সালাউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক তালুকদার সভায় বক্তব্য দেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারতের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া কখনো আমাদের পক্ষে নয় মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভবপর হতো না। একাত্তর সালে এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। ভারত পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণার পর ভারতের সেনাবাহিনী আমাদের মুক্তিবাহিনীর সাথে একযোগে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ভারতের সেনাবাহিনীর শতশত সদস্য আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছে। তাই ভারতের সাথে আমাদের যে মৈত্রী, আমাদের যে সম্পর্ক, সেটি রক্তের অক্ষরে লেখা।’

১৯৭১ সালে ভারতের মানুষ বাংলাদেশিদের জন্য তাদের আঙিনার দুয়ার যেভাবে খুলে দিয়েছিল তেমনি তাদের হৃদয়ের দুয়ারও খুলে দিয়েছিল উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এককোটি মানুষ ভারতের যে বিভিন্ন পরিবারের সাথে আশ্রিত ছিল, তারা তাদেরকে বোঝা মনে করেনি, পরম আপন ভেবে আশ্রয় দিয়েছিল। ভারতের শিল্পী, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড় সবাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। কোলকাতা, আগরতলা, দিল্লিসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় রাস্তায় তারা আমাদের শরণার্থীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছে। তাই ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী চিরঅম্লান এবং এই মৈত্রী রক্তের অক্ষরে লেখা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের দুর্যোগ, দুর্বিপাকে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরাও সামর্থ্য অনুযায়ী ভারতের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি-এভাবেই বন্ধুত্ব সুদৃঢ় হয়।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দেশে বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল ভারতের এই অবদানকে অস্বীকার করার চেষ্টা করে, ভারতবিরোধী বক্তৃতা দেয়। তাদের রাজনীতির অন্যতম মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ভারতবিরোধিতা এবং নির্বাচন এলে তাদের ভারতবিরোধী বক্তৃতা বেড়ে যায়।’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..