মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
অবশেষে গাইটালের পানি নিস্কাষনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার আশ্বাস দিলেন ইউএনও কামরুল হাসান মারুফ প্যালেস্টাইন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে ওরিয়েন্টেশন ও মতবিনিময় সভা নান্দাইলে ঐতিহ্যবাহী তারঘাট আনছারীয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম ক্লাসের উদ্বোধন নান্দাইল চৌরাস্তার গোলচত্বরে সৌন্দর্যবর্ধন কাজ শুরু জাহানারা ইমাম হলে জিএস নির্বাচিত আমতলীর বুশরা বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক সমিতি ফতুল্লা থানা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান বন্দরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক দাওয়াত না পেয়ে মাদ্রাসার খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা আমতলীতে নারী ইউপি সদস্যের ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ।

প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি গ্যাস তৈরি করে তাক লাগালো ভোলার কলেজ ছাত্র

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬২২৫ বার পঠিত

ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি গ্যাস তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভোলার কলেজছাত্র মো. সাজেদুল ইসলাম। সে ভোলা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

সে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় তার তৈরি প্রজেক্ট প্রদর্শন করে সবার দৃষ্টি কেড়েছে। কলেজছাত্র সাজেদুলের তৈরি প্রজেক্ট এক নজর দেখতে ভিড় করেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা। সাজেদুল জানায়, অনেক দিন ধরেই তার মাথায় একটি আলাদা কিছু তৈরি করার ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছা থেকেই সে বাজারের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে জ্বালানি গ্যাস তৈরির প্রজেক্ট হাতে নেয়। এ প্রজেক্টে প্রথমে প্লাস্টিক বর্জ্য লোহার তৈরি বোতলে সৌর শক্তির মাধ্যমে গলানো হয়। পরে তা পাইপ দিয়ে ঠান্ডা পানির দ্বিতীয় বোতলে যায়। এরপর তৃতীয় বোতলে প্লাস্টিকটি অপরিশোধিত তেল হিসেবে জমা হয়। তারপর সেখান থেকে তা ঠান্ডা পানির চতুর্থ বোতলে যাবে। এরপর পঞ্চম ধাপে একটি পেট্রলের বোতলে যাবে। ওই পেট্রল অল্প পরিমাণে থাকবে কিন্তু শেষ হবে না। এরপর শেষ ধাপে ষষ্ঠ পর্যায়ে এটি মিথেন গ্যাসে পরিণত হয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

কলেজছাত্র সাজেদুল বলে, অনেক যাচাই-বাচাই করে আমি প্রজেক্টটি তৈরি করেছি। তবে বড় প্রজেক্ট তৈরি করে সবাই এভাবে প্লাস্টিক থেকে তৈরি গ্যাস রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। এ কাজে তার সহপাঠী শাহরিয়ার জিহান, তালহা মাহমুদ, আরাফাত রহমান, আশাদুজ্জামান, মাহামুদুর রহমান ও মাহাফুজুর রহমান সহযোগিতা করেছে।

ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সাজেদুলের প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে তৈরি করা গ্যাস প্রজেক্টটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় একটি অন্য রকমের আইটেম ছিল। আমরা তার প্রজেক্টটি দিয়ে ভাবিষ্যতে কিছু করার বিষয়ে ভাবছি।

এর আগে সদর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। মেলায় ২৫টি স্টল বসে। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। স্টলগুলোতে ডিজিটাল সেবার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন নতুন উদ্ভাবন প্রদর্শন করে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..