বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল অনিয়ম, ঘুষ,দুর্নীতির আখড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া। এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক। আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক। এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক অযত্ন-অবহেলায় অস্তিত্ব সংকটে নলছিটির সম্ভাবনাময় হাড়িখালি গ্রাম হঠাৎ অস্থির ডালের বাজার, কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা প্রচলিত প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তন করতে হবে: তারেক রহমান মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা ‘সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত’ মুরাদনগরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু তারঘাট আনছারীয়া ফাজিল মাদরাসায় ফাজিল শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাশের উদ্বোধন

প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি গ্যাস তৈরি করে তাক লাগালো ভোলার কলেজ ছাত্র

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬২১৪ বার পঠিত

ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি গ্যাস তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভোলার কলেজছাত্র মো. সাজেদুল ইসলাম। সে ভোলা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

সে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় তার তৈরি প্রজেক্ট প্রদর্শন করে সবার দৃষ্টি কেড়েছে। কলেজছাত্র সাজেদুলের তৈরি প্রজেক্ট এক নজর দেখতে ভিড় করেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা। সাজেদুল জানায়, অনেক দিন ধরেই তার মাথায় একটি আলাদা কিছু তৈরি করার ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছা থেকেই সে বাজারের ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে জ্বালানি গ্যাস তৈরির প্রজেক্ট হাতে নেয়। এ প্রজেক্টে প্রথমে প্লাস্টিক বর্জ্য লোহার তৈরি বোতলে সৌর শক্তির মাধ্যমে গলানো হয়। পরে তা পাইপ দিয়ে ঠান্ডা পানির দ্বিতীয় বোতলে যায়। এরপর তৃতীয় বোতলে প্লাস্টিকটি অপরিশোধিত তেল হিসেবে জমা হয়। তারপর সেখান থেকে তা ঠান্ডা পানির চতুর্থ বোতলে যাবে। এরপর পঞ্চম ধাপে একটি পেট্রলের বোতলে যাবে। ওই পেট্রল অল্প পরিমাণে থাকবে কিন্তু শেষ হবে না। এরপর শেষ ধাপে ষষ্ঠ পর্যায়ে এটি মিথেন গ্যাসে পরিণত হয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

কলেজছাত্র সাজেদুল বলে, অনেক যাচাই-বাচাই করে আমি প্রজেক্টটি তৈরি করেছি। তবে বড় প্রজেক্ট তৈরি করে সবাই এভাবে প্লাস্টিক থেকে তৈরি গ্যাস রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। এ কাজে তার সহপাঠী শাহরিয়ার জিহান, তালহা মাহমুদ, আরাফাত রহমান, আশাদুজ্জামান, মাহামুদুর রহমান ও মাহাফুজুর রহমান সহযোগিতা করেছে।

ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সাজেদুলের প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে তৈরি করা গ্যাস প্রজেক্টটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় একটি অন্য রকমের আইটেম ছিল। আমরা তার প্রজেক্টটি দিয়ে ভাবিষ্যতে কিছু করার বিষয়ে ভাবছি।

এর আগে সদর উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন ভোলা জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। মেলায় ২৫টি স্টল বসে। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে। স্টলগুলোতে ডিজিটাল সেবার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন নতুন উদ্ভাবন প্রদর্শন করে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া। এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক। আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক।