মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে বহাল তবিয়তে দুর্নীতিবাজ ডা. শাহানা জাফর মির্জাগঞ্জ ভূমি অফিসের সাবেক এসি ল্যান্ড তন্ময় ও সুবিদখালী ইউপি’র ভূমি সহকারী শাহানাজের জালিয়াতিতে মদন মোহন মিস্ত্রীর অর্ধকোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ ঈদের ছুটিতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না : স্বরাষ্ট্র সচিব সন্দ্বীপের প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়ে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: প্রধান উপদেষ্টা নান্দাইলে ছবি সহ ভোটার তালিকা হাল নাগাদ কর্মসূচির শুভ উদ্ভোধন বরিশাল বিভাগ সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত তাড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত তাড়াইল কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আইএমএফের ঋণ অনুমোদন অর্থনীতির জন্য স্বস্তি : ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৮৮৮ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি কমাতে ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ‘এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ)’, ‘এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ)’ এবং ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)’-এর আওতায় আইএমএফ ওই ঋণ সুবিধা অনুমোদন করে। এই ঋণের টাকা ৪২ মাসে কয়েক কিস্তিতে দেওয়া হবে।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিক্রিয়ায় ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, আইএমএফের পক্ষ থেকে ঋণ প্রাপ্তির অনুমোদন বাংলাদেশের ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ অনুমোদনের ক্ষেত্রে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও পলিসি সংস্কারের শর্তারোপ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আর্থিক খাত, নীতি কাঠামো, জ্বালানি খাত, সরকারি অর্থব্যবস্থা, স্থানীয় রাজস্ব বৃদ্ধি, জলবায়ু স্থিতিশীল করতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ইত্যাদি। তবে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়াকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি। এই ঋণ সুবিধা বাংলাদেশকে বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ব্যারিস্টার সাত্তার বলেন, এই ঋণ প্রাপ্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে, যা আমাদের অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে। এমনকি সরকার আমদানির ক্ষেত্রে এলসি খোলার কঠোর শর্তাবলী প্রত্যাহারের বিষয়ে বিবেচনা করার সুযোগ পাবে। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনা করে ঋণটি অবশ্যই ব্যবসায়ীদের জন্য স্বস্তি দেবে।

তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার অনুমোদন এবং বাস্তবায়ন করেছে। আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত সাম্প্রতিক মুদ্রানীতিতে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুশাসন নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঋণের সুদহারের সীমা শিথিল করা হয়েছে। বাজারভিত্তিক এবং একক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, সম্প্রতি নতুন আয়কর আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে, যার অন্যতম লক্ষ্য হলো করজাল বাড়ানো, যাতে করে দেশীয় রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি করা যায়। পাশাপাশি নতুন আয়কর আইন অটোমেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। সরকার অদূর ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজেট-ঘাটতি হ্রাস এবং কর-জিডিপি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারে।

 

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..