বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে আওয়ামীলীগের ‘অবৈধ লকডাউন’-এর প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচির দিন গণপরিবহন চলবে: মালিক সমিতি ভারতীয় দূতকে তলব, গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার কথা বলা বন্ধের আহ্বান গণভোটের চেয়ে আলু চাষিদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি প্রয়োজন: তারেক রহমান আগামীকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা বেতাগীতে উপকূল দিবস পালিত মোরেলগঞ্জে বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ অনলাইনে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্য সেজে প্রতারণা মূলহোতা গ্রেফতার রাস্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সুজন প্রস্তাবিত জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন চাই তাড়াইলে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত

তাড়াইলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামহীন: নেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

আনোয়ার হোসাইন জুয়েল: তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৯৬৭ বার পঠিত

আর্ন্তজাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাত এবং অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে দিশেহারা সাধারণ মানুষ।

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলেও একই চিত্র। তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অগ্নিমূল্যে পিষ্ট হচ্ছে এ উপজেলার নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ (শুক্রবার) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাল কেজি প্রতি ৬০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬৫ টাকা, মুশুরির ডাল ১০০ টাকা, ছোলার ডাল ৬৮ টাকা, মুগের ডাল ১৩০ টাকা, ডিম ৫০ টাকা হালি, তেল ১৮৫ টাকা লিটার এবং খোলা তেল ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা, রসুন ৯০ টাকা, আদা ৯০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, হলুদ ১৮০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিচ ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, সীম ৪০ টাকা ।

মাংসের বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, কক ৩৪০ টাকা, লেয়ার কক ৩২০, গরুর মাংস ৬৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজার করতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম উর্ধ্বমুখি। বাজার করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।এভাবে সকল পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে আমরা যারা  নিম্ন আয় ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক তাদের বাজার কিনে খেয়ে বেঁচে থাকার মতো অবস্থা নেই। তারা আরো বলেন, গরু ও খাশির মাংসের কাছে তো অনেক আগে থেকেই ঘেষা যাচ্ছে না। মধ্যবিত্তের মাংসের খাবার বলতে ব্রয়লার মুরগী তারও দাম বেড়ে গেছে। ফলেে এক-দুই মাসের মধ্যে মুরগীর মাংসও কিনতে পারছি না। সবকিছু আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজার করতে আসা মহর উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন বলেন, আমাদের দুর্দশার শেষ নেই। আয় বাড়েনি অথচ সবকিছুর দাম উর্ধ্বমূখী। মাছ, মাংস, ডিম থেকে শুরু করে শাক-সবজির বাজারেও আগুন। দ্রব্যমূল্যের এতো দাম যে, যা কিনতে বাজারে আসছি তার কিছু কিনেছি আর বাকিগুলো না কিনেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। তাড়াইল সদর বাজারের সবজি ও মনোহারী ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, চিনির দাম বেড়ে আবার কমেছে। চালের দাম কেজি প্রতি ২-৩ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবজির দাম একটু বেশি। মৌসুম শেষের সময় সবকিছুর দাম বেশি হয়। দাম বেশি হলেও মানুষ খেয়ে বাঁচার জন্য তা কিনতে হচ্ছে। মানুষ আগের তুলনায় কম কিনছে। কিছু দিন পর সবজির দাম কমতে পারে। তারা আরো বলেন, গত এক সপ্তাহ পাইকাররা প্রতিদিনি ৫-১০ টাকা করে দাম বাড়াচ্ছে। সবকিছুর দাম বাড়ায় পাইকাররাও দাম বেশি নিচ্ছে। আমাদেরও বেশি দামে মাল কিনতে হচ্ছে। ফলে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।

এ বিষয়ে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..