বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গণঅভ্যুত্থান বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হলদিয়া গুরুদল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতির পরিচিতি সভা শ্যামাসুন্দরীর ১০ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে: রিজওয়ানা হাসান গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ গেঞ্জিতে আজও ছেলেকে খুঁজে শহীদ আবু সাঈদের মা বেতাগীতে বিএমএসএফ এর ১৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আলোচনাসভা গুলশানে স্পা অন্তরালে দিনে ও রাতে চলছে বাহারের ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী প্রকৌশলীদের হাতের মুঠোয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভুয়া সনদে অবৈধ নিয়োগ: সাবেক মেয়রসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রাজনৈতিক উত্তেজনার তীব্রতায় তারেক জিয়াকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

মিয়ানমারের ইতিবাচক সাড়ার কারণ সময় বলে দেবে : পররাষ্ট্রসচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৮৭৮ বার পঠিত

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার দিক থেকে ইতিবাচক সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এটা কী সাময়িক ব্যাপার বা এটার মধ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে; তা বোঝার জন্য বাংলাদেশকে চেষ্টা করতে হবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য যাচাই-বাছাইয়ে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে রোববার (১৯ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রসচিব।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কালকে ওরা (রোহিঙ্গারা) রওনা করবে বা পরশু দিন ওদের ঠেলে পাঠিয়ে দেব, ব্যাপারটা সে রকম না। ১১ লাখ তো একদিনে বা এক রাতে, এক বছরে ফিরে যেতে পারবে না। প্রতিনিধিদল এসেছে, তারা কাজ করছে। এরপর আরও অনেক স্টেপ আছে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দেখতে হবে রোহিঙ্গারা যেখানে ফিরে যাবে সেখানে (রাখাইনে) সহায়ক পরিবেশ, তাদের স্বাধীনতা, তাদের চলাফেরার স্বাধীনতা, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবা থাকবে কি না। সেখানে আন্তর্জাতিক উপস্থিতি থাকবে কী না, হতে পারে আসিয়ান বা জাতিসংঘ। এ সমস্ত কম্বিনেশন যখন হবে তখন তারা আমাদের সঙ্গে বা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে। তারপরই এ লোকগুলো সেখানে যাওয়ার কথা আসবে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকার আশাবাদী কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের দিক থেকে একটা ইতিবাচক আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটা আগে কিন্তু করে নাই। ওদের দিক থেকে পজিটিভ একটা বিষয় লক্ষ্য করছি, এতদিন তো করে নাই। তবে এটা কী সাময়িক ব্যাপার বা এটার মধ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কী না… থাকলেও থাকতে পারে। সেটা আমাদের বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা যদি কনভিন্স না হই তাহলে জিনিসটা টেকসই হবে না বা এটা শুরু করলে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না। এটা না হওয়া পর্যন্ত আমরা ওদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবো ইন গুড ফেইথ। গত পাঁচ-ছয় মাসে তাদের দিক থেকে নড়াচড়া বা মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। এখন সময়ই বলে দেবে আগামী ছয় মাসে তাদের এসব পদক্ষেপ টেকসই হবে কী না।

পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে বর্ষা মৌসুম শেষে আগামী শীতের শুরুর দিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরুর ইঙ্গিত দেন পররাষ্ট্রসচিব।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..