মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুজিবনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৪ শিশু নান্দাইলে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়ে হতদরিদ্রদের মাঝে ইউএনওর ভিজিএফ চাল বিতরণ ভোটাধিকার চাইলে সেটি যদি ‘অপরাধ’ হয়, তবে বিএনপি সেই ‘অপরাধ’ বারবার করবে: ড. কাজী মনির গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর সরকারের অন্যতম লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্টা স্থিতিশীল বাজারে স্বস্তিতে ক্রেতারা : আসিফ মাহমুদ সমৃদ্ধির পথে যেতে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা মুজিবনগরে ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন পরিবর্তনের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বড় শ্রমবাজার হবে জাপান, বাড়বে সে দেশের বিনিয়োগও : প্রেস সচিব এক নজরে বাংলাদেশের ৫৩টি জাতীয় বাজেট

যক্ষ্মা নির্মূলে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে রাশিয়া-ভারত-মালদ্বীপ

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৬৬৭০ বার পঠিত
ফাইল ছবি

২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে রাশিয়া, ভারত ও মালদ্বীপ। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার মস্কোর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠকে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগত প্রকাশ নাড্ডা, মালদ্বীপের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম এবং রাশিয়ার স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী তাতিয়ানা ইয়াকোভলেভা এই আশ্বাস দেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা পরীক্ষিৎ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের শহরগুলোতে বিশেষায়িত বিশ্বমানের হাসপাতাল গড়ে তোলার পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র মানুষের জন্য মৌলিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে।

দেশের গ্রাম পর্যায়ে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে জনগণের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা করেছে সরকার। শিশু মৃত্যু হার হ্রাস এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়।

‘২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ তার অঙ্গীকার অনুযায়ী কর্মসূচি গ্রহণ করছে’ একথা জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম রাশিয়া, ভারত এবং মালদ্বীপের মন্ত্রীদের বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্জন এবং গৃহীত কর্মসূচির বিস্তারিত অবহিত করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শহরাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ বস্তিগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জীবনাচরণের কারণে যক্ষার প্রকোপ বেশি ঘটছে। তাই শহরের বস্তিগুলোতে যক্ষা নির্মূলের জন্যে আমরা অতি সম্প্রতি ‘জিরো টিবি’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি সংস্থাও জোরদার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ পোলিও এবং ধনুষ্টংকারমুক্ত। কলেরা ও ম্যালেরিয়া এখন দেশ থেকে বিলুপ্তির পথে। এইডস সংক্রমণের হার অতি নগণ্য। সরকারের দৃঢ় সদিচ্ছার কারণে বাংলাদেশ থেকে যক্ষ্মাও ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল হবে। এসময় বাংলাদেশের কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি দেশগুলোর সরকারের কাছে সহায়তা কামনা করেন।

বৈঠকে রাশিয়া, ভারত ও মালদ্বীপের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা বাংলাদেশের সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন। মস্কোয় চলমান ‘এন্ডিং টিউবারকিউলসিস ইন দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইরা : এ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। গত ১৪ নভেম্বর রাতে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে মস্কোর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে মন্ত্রী যোগদান করেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..