শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রংপুরে শেখ হাসিনার ভাতিজাসহ ২৮ জনের নামে মামলা পঞ্চগড়ে নদী থেকে গরু ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার গাইবান্ধায় দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন তাড়াইলে সাংবাদিকদের নৌভ্রমণ সিলেট-চারখাই-শেওলা মহাসড়কের কাজ নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে আন্দোলনের হুমকি জামিনে বের হয়েই রাতের আধারে ঘর ভেঙ্গে নিলেন যুবদল নেতা মুজিবনগর সীমান্তে ৫১ হাজার ডলারসহ চোরাকারবারী আটক ভারত বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্লান করছে আওয়ামীলীগ: আলতাফ হোসেন চৌধুরী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে শাবিপ্রবি ছাত্রদলের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

গাইবান্ধায় দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

রংপুর ব্যুরো:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৭৫০ বার পঠিত
ছবি: সংগৃহীত

পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর সরকারি কলেজ রোডে আবু হোসেন সুপার মার্কেট এলাকায় গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছিল দুই গ্রুপ। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান নিয়ে মার্কেটের গেট ভেঙে হামলার চেষ্টা চালানো হয়।

এসময় আতঙ্কে মার্কেট ও আশপাশের দোকান বন্ধ হয়ে যায়, থেমে যায় যান চলাচল। প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা করেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার তরফবাজিত গ্রামের গনি মিয়া ও বুজরুক পাঠানোছা গ্রামের তুলিপের কাছে কয়েক লক্ষ টাকা গ্রহণ করেনহামিন্দপুর গ্রামের দুলা মিয়া। পরে সেই টাকা তিনি গাইবান্ধায় বাড়ি, বর্তমানে লালবাজারে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন মঞ্জু নামে এক ব্যক্তির কাছে দেন। এ নিয়ে গনি ও তুলিপের সঙ্গে দুলা-মঞ্জু পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল।

সম্প্রতি স্থানীয় ধলু ও কাজল নামে দুই ব্যক্তি মঞ্জুর পক্ষে হয়ে পাওনা টাকা পরিশোধে আলোচনায় বসেন, তবে সমাধান হয়নি। গত শুক্রবার বিকালে আবু হোসেন সুপার মার্কেটে পুনরায় আলোচনায় বসলে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী লাভলু মিয়া ও তার ছোট ভাই নাজমুলের সঙ্গে গনি-তুলিপের হাতাহাতি হয়। সংবাদ পেয়ে উভয় পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হলে উত্তেজনা চরমে উঠে। সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজ উদ্দীন খন্দকার বলেন, সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও প্রশাসনের কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..