বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেতাগীতে স্লুইস নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় কৃষকদের দুর্ভোগ : ফসল আনাবাদী পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এ বছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে পাশে রাখুন : তারেক রহমান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ডিপিএড প্রশিক্ষণের বকেয়া ভাতায় শিক্ষক নেতাদের ঘুষ বানিজ্য আমতলীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা! লঞ্চের ধাক্কায় নিখোঁজ রায়হানের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের আর্থিক অনুদান তালতলীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, নৌবাহিনীর ব্যাপক লাঠিচার্জ

ভোলায় নতুন জাতের ধান চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩০ মে, ২০২২
  • ৬১৩৫ বার পঠিত

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):

পরিবর্তনই নিয়ম। পরিবর্তনে আসে সাফল্য। ধান চাষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এই কথা।

একই জাতের ধান বছরের পর বছর না লাগিয়ে পরীক্ষাগারে উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলোর উপর জোর দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি), বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজেইউএস) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় বোরো’২০২২ মৌসুমে ভোলা জেলার দৌলতখান ও চরফ্যাশন উপজেলায় ৮ জন কৃষকদের মাঝে গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সর্বশেষ উদ্ভাবিত ধানের জাতসমূহের ফলনের উপযোগিতা যাচাই এর জন্য প্রদর্শণী প্লট স্থাপন করা হয়। এবছর প্রদর্শিত জাতসমূহ হল ব্রি ধান২৮ ও ব্রি ধান২৯ এর তুলনায় ব্রি ধান৯৯, ব্রি ধান৯৭, ব্রি ধান৯২, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৫৮ এবং বিনাধান-২৪ মাঠ পর্যায়ে কেমন ফলন দেয়।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, একই মাটি ও জলবায়ুতে বছরের পর বছর একই জাতের ধানের চাষাবাদ করলে ফলন কমতে বাধ্য। তখন চাষিরা অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন, যা মাটির স্বাস্থ্যের পক্ষে আরও ক্ষতিকর। তাই ফসলে বৈচিত্র না আনতে পারলেও অন্তত জাতে নতুনত্ব আনা জরুরি।

আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) এর বৈজ্ঞানিকদের তথ্যমতে, বর্তমানে যে সকল জাতের চাষাবাদ হচ্ছে তাতে রোগবালাই বেশি হওয়ার পাশাপাশি ফলনও কম। তাদের কথায়, নতুন উদ্ভাবিত জাতসমূহের ফলন পরীক্ষাগারে তুলনামূলক বেশি। তবে পরীক্ষাগার আর চাষির নিজের জমিতে চাষ এক নয়। পরীক্ষাগারের বাইরে চাষিদের ক্ষেতেও ওই ফলন হয় কিনা দেখার জন্য চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ভোলা জেলার ২টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হচ্ছে এই জাতগুলো।

দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের কৃষক মো: জসিম উদ্দিন বলেন, অনেক আগ থেকেই আমাদের জমিতে ইরাটম, বেনম্বর ধানের চাষাবাদ করে আসছি। তিনি বলেন, “বিঘাপ্রতি খরচ হযে যায় প্রায় ১৩-১৪ হাজার টাকা কিন্তু ফলন অত্যন্ত কম। আমরা আর নতুন জাত পাব কোথায়। এবছর গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা আমাকে ব্রি ধান৯২, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৫৮, ব্রি ধান২৯ এবং বিনাধান-২৪ জাতের বীজ দিয়েছে!! ফলন অনেক ভাল হয়েছে, আশেপাশের অনেক কৃষক বীজ কিনতে চেয়েছে। আমি এবছর এখান থেকে বীজ সংরক্ষণ করে পরের বছর নিজে করব ও অন্যান্য কৃষকদের কাছে বীজ বিক্রি করব।”

গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার সহকারি পরিচালক কৃষিবিদ মো: আবু বকর বলেন, “ফলন বেশি ছিল বলেই পুরোনা দিনের ধানের জাতগুলিকে সরিয়ে একদিন জায়গা করে নিয়েছিল আধুনিক জাতগুলো। তাদের মধ্যে ব্রি ধান৯৯, ব্রি ধান৯৭, ব্রি ধান৯২, ব্রি ধান৮৯, ব্রি ধান৬৭, ব্রি ধান৫৮ এবং বিনাধান-২৪ মাঠ পর্যায়ে কেমন ফলন দিয়ে চাষিদের মন জয় করতে পারবে, সেটাই দেখার।”

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..