শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র তাড়াইলে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহে যুবকের কারাদন্ড

বেতাগীতে ভুক্তভোগীকে চাল না দিয়ে গালিগালাজ করে কার্ড ফেলে দিলেন ইউপি সদস্য মজিবর

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৫৮৬৭ বার পঠিত

বরগুনার বেতাগীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারের স্বাক্ষর জাল করে ভুক্তভোগীকে চাল না দিয়ে গালিগালাজ কার্ড ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেন ইউপি সদস্য।

তিনি বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

জানা গেছে ,  “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বরগুনা জেলার বেতাগীর ১ নং বিবিচিনি ইউনিয়নে সুলভ মূল্যে ৬০০ মানুষের মধ্যে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কর্মসূচি শুরু হয়। বর্তমানে বিবিচিনি ইউনিয়নে এই চাল ৮৮৫ জনের মধ্যে বিতরণ এবং প্রতি কেজি চালের মূল্য ১৫ টাকা ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। ২০২১ সালের ২১ জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতার কারণে ডিলার হিসেবে নিজের নাম পরিবর্তন করে স্ত্রী সীমার নাম দেন মজিবর রহমান খন্দকার। এদিকে, সীমা নিজেই জানেন না যে, তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির একজন ডিলার। গত  মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর ২০২৩)  বেলা ১১ ঘটিকার সময় শাহীদ আকন নামে এক ব্যক্তির চাল আনতে গেলে ছালমা নামে এক ভুক্তভোগী নারী, তাকে চাল না দিয়ে কার্ড ছুড়ে ফেলে দেন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউসুফ আকন ও ট্যাক অফিসার শাওন এর সামনে  গালিগালাজ করেন।

সাইদুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগীর ৪ মাসের চাল বাকি থাকলেও তাকে দুই মাসের ৬০ কেজি চাল দিয়েছে বাকি চাল না দিয়ে তাকেও পাঠিয়ে দেন ডিলার এর স্বামী ইউপি সদস্য মজিবর। একই অভিযোগ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তৈয়বা আলী মৃধা ৭০ পিতা আইজ উদ্দিন তাকেও ৩ মাসের চাল দেওয়ার কথা বলে ২ মাসের চাল দিয়ে তাকে পাঠিয়ে দেন মজিবর খন্দকর। তিনি বাকি চাল চাইলে তাকে বলেন যদি মেম্বার কালন বলে তাহলে বাকি চাল দিব না হলে দিব না।

সরেজমিনে ডিসিরহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ইউপি সদস্য মো. মজিবর রহমান খন্দকার স্ত্রী সীমার স্বাক্ষর জাল করে নিজেই চাল বিক্রি করছেন বলে জানা যায়।

জানা যায়, বিবিচিনি ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪৩৭ জন ক্রেতাকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়।

আবার অনেকের থেকে কার্ডের জন্য ১০০ টাকা করে মোট ৮৭  হাজার চারশ টাকা হাতিয়ে নেন ডিলার ও ইউপি সদস্য মজিবর রহমান খন্দকার।

চাল নিতে আশা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতা থেকে চাল নেওয়া প্রায় শতাধিক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, মেম্বার মজিবর বছরে প্রায় তিনবার তাদের কাছ থেকে কার্ডের জন্য ১০০ টাকা করে নিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন , মজিবর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারি না।

ডিলারের বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. মজিবর খন্দকারের স্ত্রী সীমার কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন , তার স্বামী চাল বিক্রি করে সেটা সে জানে টাকা নিয়েছেন কিনা তিনি জানেন। তবে এ নিয়ে এত ঝামেলা হতে পারে, সেটি তিনি জানতেন না।

ইউপি সদস্য মো. মজিবর রহমান খন্দকার বলেন, যা কিছু করি সব কিছু অফিস ম্যানেজ করেই করি কার্ডের জন্য আমি টাকা নেইনি।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

উপজেলা নির্বাহী  কর্মকর্তা মোঃ ফারুক আহমেদ  বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা’ বলেন আপনার মাধ্যমে অভিযোগ পেলাম আর এটি দেখার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তবে  তার স্ত্রীর নামে যদি ডিলার হয়ে থাকে তাহলে সে চাল বিক্রি করতে পারবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সত্যতা পাওয়া গেলে আইন-আনুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..