বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নান্দাইলে যুগের হাওরে সেই স্থানে সতর্কবাণী সাইনবোর্ড দিলেন উপজেলা প্রশাসন এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই

আল্লাহর দরগাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অবৈধভাবে গোপনে নিয়োগ বাণিজ্যের লিখিত অভিযোগ দাখিল

আশরাফুজ্জামান সরকার (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫৮৫৬ বার পঠিত

পলাশবাড়ীর আল্লাহর দরগাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে গোপনে ৫টি পদে নিয়োগ বাণিজ্য করায় শাহারুল ইসলাম নামে এক সচেতন ব্যক্তি ২ জানুয়ারী গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট বাজার এলাকার আল্লাহর দরগাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার, সহকারী সুপার ও তিন জন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীসহ ৫ জনকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় ৯ ডিসেম্বর শনিবার ৫ সদস্যের নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে গোপনে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়।

এব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস ছালামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি লেখাপড়া জানি না, আমি একজন কৃষক মানুষ আমি এতো কিছু বুঝি না আমাকে স্বাক্ষর করতে বললে আমি স্বাক্ষর দিয়েছি। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার কেএম তাহের খন্দকার ও তার মনোনীত মাদ্রাসার শিক্ষক মামুনসহ কয়েকজন টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বোর্ডকে ম্যানেজ করে ২২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন। আমি সভাপতি হিসাবে নিয়োগ বোর্ডে থাকলেও কারা এসব পদে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের আমি দেখিনি বা তারা কারা তা বলতে পারবো না।

এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার কেএম তাহের খন্দকার মুঠো ফোনে কল করলে তিনি নিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক কর্মচারী ও অভিভাবক সদস্য জানান, পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে ম্যানেজ করে ভারপ্রাপ্ত সুপার কেএম তাহের খন্দকার তার মনোনীত প্রার্থীদের দিয়ে এসকল নিয়োগ সম্পন্ন করা হলেও আমরা নিয়োগ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে বিশ্বাস্ত সূত্রে জানা যায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে গোপনে ৫টি পদে নিয়োগ বাণিজ্য সম্পন্ন করা হয়।

মাদ্রাসাটির সঠিক সময়ে শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত না হওয়া ও নিয়োগ বানিজ্যসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিকট তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান সচেতন মহল।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..