রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সাভারে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলায় আহত ৮ বিডিআরসিএস এ দুর্নীতির অভিযোগের পাহাড় মাথায় নিয়ে বহাল তবিয়তে ডা: শাহানা জাফর: খুটির জোর কোথায়? যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রকৃত সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জাতিসংঘ-বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নে যৌথ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে: আইন উপদেষ্টা তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ নান্দাইল উপজেলা বিএনপি’র নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত কবি নজরুল সরকারি কলেজ সাংবাদিক সমিতির নেতৃত্বে শুভ ও সা’দ ড্রেনবিহীন রাস্তা, বৃষ্টি হলেই পানি জমে বিয়ানীবাজার সাভারের আশুলিয়ায় নিখোঁজ দুই মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ মিলল পুকুরে

টাকার প্রলভন দেখিয়ে বিদেশে পাচার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬০৮৮ বার পঠিত

‘আরব আমিরাতের ড্যান্স ক্লাবে চাকরির জন্য প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতি দেয় ওই দেশের জিয়া নামের এক ব্যক্তি। এ ছাড়া পাসপোর্ট ও ভিসার কাজ সবই তার বাংলাদেশে এজেন্ট শহিদুলের মাধ্যমে করিয়ে দিয়েছে। এমনকি বিদেশ যাওয়ার আগে আমাকে ৩০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একবার পাঠানোর চেষ্টা করে। ইমিগ্রেশন থেকে আমাকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে হুমকি দিতে শুরু করে জিয়া ও তার এজেন্টরা’—বলছিলেন দুবাইয়ের মানবপাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া খুলনার মনিরা (ছদ্মনাম)।

মনিরা আরও বলেন, ‘ওরাই টিকিট ও ভিসার কাজ সম্পন্ন করে আমাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়। কিন্তু ভিসায় সমস্যা থাকায় ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় আমাকে। তারপর বাড়ি চলে যাই। বিদেশ যাবো না বলে ঠিক করি। কিন্তু শহিদুল আমার বাবা-মাকে বিভিন্নভাবে বাড়িতে গিয়ে বুঝিয়েছে। ঢাকায় যখন আসি তখন আমাদের একটি হোটেলে রাখা হয়। পরে জানতে পারি আমার মতো আরও অনেক মেয়েকেই ওরা বিদেশ যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা দিচ্ছে। আমাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে। অনেককে ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছে।’

জিয়ার সঙ্গে পরিচয়ের বিষয়ে মনিরা বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেরই এক আপা দুবাইতে ড্যান্স ক্লাবে কাজ করে বলে আমাকে জানায়। তিনি বলেন, আমিও যাবো কিনা, পাসপোর্ট হয়েছে কিনা। আমি বলি আমার পাসপোর্ট নেই। উনি বলেন, তুমি যেতে চাইলে পাসপোর্ট করিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি। সেই আপা জিয়ার সঙ্গে আমাকে মোবাইলে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর জিয়া তার এজেন্ট শহিদুলের মাধ্যমে আমাকে পাসপোর্ট করিয়ে দেয়। পরে আর ওই আপার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। যতদূর জানি তিনি দুবাই চলে গেছেন।’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..