মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলীতে ২৫/১২/২৪ তারিখ রোজ বুধবার সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকায় স্কুলের হলরুমে ঐতিহ্যবাহী অক্সফোর্ড কে. জি. স্কুলের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ, পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায়,ক্লাসে শতভাগ উপস্থিতি শিক্ষার্থী ও মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে অক্সফোর্ড কেজি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুল ইসলাম খান বলেন, অর্থের অভাবে কোন ছেলে মেয়ে এই স্কুলে লেখাপড়া করতে পারবেনা আমি সফিকুল ইসলাম বেঁচে থাকতে তা হবে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী,রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দেউলী পল্লী মঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান,
প্রধান অতিথি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের এরকম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে শিক্ষার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব খন্দকার ওয়াহিদুল ইসলাম শাকিল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজ সেবক আওলাদ হোসেন হাওলাদার, প্রফেসর আতিকুল ইসলাম খান, মিজানুর রহমান বাহাদুর, আজমল হোসেন জালাল, আবুল আলম খান, আবদুস সালাম খান, মোকলেছুর রহমান বাদল, জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুস সালাম মৃধা প্রমুখ।
প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সভায় স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শফিকুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
এসিস্ট্যান্ট প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম খান সভার সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিষ্ঠাতা মোঃ সফিকুল ইসলাম খান স্বাগতম বক্তব্যে উপস্থিত ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক, এলাকাবাসী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সকলকে ধন্যবাদ ও স্বাগতম জানান।
তিনি বিভিন্ন শ্রেণিতে ক্লাসে শতভাগ উপস্থিতি, মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের অভিনন্দিত করেন।আগামী বছরে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিসহ সর্বক্ষেত্রে শিক্ষার মান অধিকতর উন্নীতকরনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি অক্সফোর্ড কে. জি. স্কুলকে হাইস্কুলে রুপান্তরের বিষয়ে এলাকাবাসীর মতামত, চিন্তাভাবনা জানার জন্য আগামীকাল অর্থাৎ ২৬/১২/২৪ তারিখ বিকাল ৪ঃ০০ ঘটিকায় স্কুল মাঠে এক মতবিনিময় সভা আহ্বান করেছেন।
পরিশেষে ক্লাসে শতভাগ উপস্থিতি শিক্ষার্থী, মেধাবী তালিকায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং বছরে এক দিনও নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ না করা শিক্ষকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য স্কুলটি বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।