শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আমতলী থানা থেকে জব্দকৃত জাটকা ইলিশ লুট! এমন আলোচিত ঘটনা জানেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসুস্থ সাবেক মেয়রের পাশে মানবিক নেতা: হাসপাতালে সাক্ষাৎ করলেন আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান তাড়াইলে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে ‘বিসিক উদ্যোক্তা মেলা-২০২৫’ নলছিটিতে ইয়ুথ আউটরিচ কমিউনিকেইটার টিম গঠনের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণজাগরণ দল পটুয়াখালী সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত, বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নে ক্ষুব্দ আমতলী-তালতলী প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এমরান চৌধুরী মোরেলগঞ্জে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক

দুই যুগে নির্মান হয়নি বিয়ানীবাজার পৌরসভার ময়লার ডাম্পিং

বিয়ানী বাজার (সিলেট) প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫৮১৩ বার পঠিত

প্রথম শ্রেণির বিয়ানীবাজার পৌরসভায় কোনো ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নেই। পৌর এলাকার প্রতিদিনের ময়লা ফেলা হচ্ছে যত্রতত্রভাবে একাধিক স্থানে। বর্তমানে ৪নং ওয়ার্ডের খাসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অলিখিতভাবে এবং দাসগ্রামের পৃথক আরেকটি স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে নাগরিকদের।

বিগত দিনে মুড়িয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামে এবং পৌরশহরের লাসাইতলায় ময়লা ফেলা হলে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের মুখে সেসব স্থান থেকে সরে আসা হয়। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা গঠনের শর্তানুযায়ী, পৌর এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাজার, শিল্প এলাকা ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে।

এছাড়া সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও থাকা প্রয়োজন। সর্বোপরি নির্দিষ্ট জনসংখ্যা ও উন্নত অবকাঠামো থাকতে হয়। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিয়ানীবাজার পৌরসভায় গড়ে ওঠেনি ডাম্পিং স্টেশন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালের ৩০শে এপ্রিল বিয়ানীবাজার পৌরসভা গঠিত হয়। ১৭ মে ২০০৫ সালে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হয়ে ৩১ জুলাই ২০১৭ সালে এটি প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়। ১৮.১৭ বর্গকিঃমিঃ আয়তনের এই পৌরসভায় লোকসংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। বড় পরিসরের এই জনগুরুত্বপূর্ণ পৌরসভাটিতে কোনো ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নেই। ফলে যাবতীয় ময়লা ফেলা হচ্ছে যততত্র ভাবে।
খাসা এলাকার বাসিন্দা সরওয়ার হোসেন বলেন, সড়কের পাশে প্রাইমারী স্কুলের সামনে ময়লাগুলো এনে ফেলা হচ্ছে। ময়লার দুর্গন্ধে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন।

সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ময়লা অপসারণে হাতেগোনা পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ভ্যানচালক ও ট্রাকচালক নিয়োজিত রয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৫ জনের বেশী হবেনা। এত অল্প সংখ্যক লোকবল দিয়ে পুরো পৌর এলাকার ময়লা অপসারণ সম্ভব না।পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলার স্থায়ী জায়গা ক্রয়ের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেট বরাদ্ধ করা হয়েছিল সাড়ে ৪ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও বাজেট বরাদ্ধ করা হয় ৫কোটি বেশি কিন্তু কাগজে বরাদ্ধ থাকলেও ময়লা ফেলার স্থায়ী জায়গার সংস্থান করতে পারেনি পৌরসভা।

বিয়ানীবাজার পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা নিকুঞ্জ ব্যানার্জি বলেন, বিয়ানীবাজার পৌরসভা ভবিষ্যতে একটি বড় শহরে পরিণত হবে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা ময়লা ডাম্পিংয়ের পরিকল্পিত ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করার চেষ্টা করছি।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..