কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের বাজারের রাস্তার উপর কলা গাছ সংক্রান্ত বিষয় নিয়া দুই ভাতিজার মারামারি ফিরাইতে গেলে দিগদাইড় গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে ফজলুর রহমান (৫০) নামের একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আসমা আক্তার (৪৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে তাড়াইল থানা পুলিশ।
তাড়াইল থানা সূত্রে জানা যায়, ১০ মে ( শনিবার) সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের দিগদাইড় বাজারের রাস্তার উপর নুরুল ইসলামের ছেলে এনায়েতুল্লাহ ও হারেছ মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (নিহতের একই পরিবারের দুই ভাতিজা) কলা গাছ নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তখন নিহত ফজলুর রহমান তাদেরকে মারামারি থেকে নিবৃত্ত করিয়া বাড়ি নিয়া যায়। বাড়ি যাওয়ার পর উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে হারেজ মিয়ার স্ত্রী আসমা আক্তার (৪৫) সহ অন্যান্যরা নিহত ফজলুর রহমানকে মারধর করে। তখন পরিবারের লোকজন তাকে আহতবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক (EMO) তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অধ্যক্ষ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জ এ প্রেরণ করেন। উক্ত হাসপাতালে রাত ১১ টায় সে মৃত্যুবরন করেন। ঘটনার পর ঘটনায় জড়িত অন্যান্য অপরাধীরা পালিয়ে গেলেও এলাকার লোকজন আসমা আক্তারের ঘর ঘেরাও করে তাকে আটক করে রাখে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ আসমা আক্তারকে ধর্তব্য অপরাধে জড়িত থাকার অপরাধে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান জানান, এ ঘটনায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে আছে। তদন্ত কাজ অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনার জড়িত হারেজ মিয়ার স্ত্রী আসমা আক্তারকে আটক করা হয়েছে।