শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্ধর্ষ চুরি বেতাগীতে অগ্নিকান্ডে নিঃস্ব ৩ পরিবার, বসতঘর পুড়ে ছাই বৈছাআ রংপুর ও নাটোর জেলা শাখার আহবায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত সমকামী ও ট্রান্সজেন্ডারদের বৈধতা দেয়ার চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন মাইলস্টোন কলেজের সেই শিক্ষকের কবর জিয়ারত করলেন আফরোজা আব্বাস থানায় প্রবেশ করে পুলিশকে ছুরিকাঘাত করা সেই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগরে গোমতী নদীর পাড় থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার ফেসবুকে জন দু্র্ভোগের পোস্ট করায় কালবেলা আমতলী প্রতিনিধিকে হুমকি! বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট মহানগরের সংগঠককে ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা শেখ হাসিনার ’গুলি চালাও’ নির্দেশ: আল জাজিরার অভিযোগ

রংপুর-সৈয়দপুর সড়ক সংস্কারে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি পাথর কম ব্যবহার

রংপুর ব্যুরো:
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৭৫৫ বার পঠিত

রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের রংপুর চাকঘর থেকে তারাগঞ্জের চিকলী বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে অনিয়ম ধরা পড়েছে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণ পাথর ব্যবহার না করে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম দিয়েছে। বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল।

২৩ জুলাই বুধবার বিকালে রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ ডিভিশনের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্ট পরিচালিত একটি নিয়মিত টহল দল লেফট্যানেন্ট নাজমুলের নেতৃত্বে সিটি মোড় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে যায়। সেখানে সড়কের গঠন ও ব্যবহৃত উপকরণ পরিমাপে অনিয়মের প্রমাণ পান তারা। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর বাজার, শলেয়াশাহ বাজার থেকে বরাতি সেতু, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাগঞ্জ সেতু এবং তকনাগঞ্জ বাজার থেকে চিকলী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশে ডিবিএসটিসহ সংস্কার কাজে বরাদ্দ হয় ২৬ কোটি ৮৯ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৪৬ টাকা। ৪ ফেব্রুয়ারি কাজটি পায় রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডন এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০ কিলোমিটার সড়কে ডিবিএসটি স¤পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। অক্টোবরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে সেনা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্পের অনুযায়ী প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর ব্যবহারের শর্ত থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি করে। অর্থাৎ প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি পাথর কম ব্যবহার করা হয়েছে। ডন এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার শাহিনুর রহমান বলেন, আমাদের প্রজেক্ট অনুযায়ী ২৩ কেজি প্রতি স্কয়ারে পাথর দেওয়ার কথা ছিল। সেনাবাহিনীর টেস্ট করার পর আমরা ১৮ কেজি পেয়েছি। আমরা তো সড়ক ও জনপথের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কাজ করছি। বেশি জায়গা না ৮০০ মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম হয়েছে। আমরা এটা আবার রিপায়ার করে দেব।

এ বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দেন সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডিজাইনে ছিল ২৩ কেজি, সেখানে ১৮ কেজি পেয়েছে। আমাদের দেখভাল করার লোকজন রয়েছে। যেহেতু দীর্ঘ একটা এরিয়া, কমবেশি হতে পারে। সেটা অবশ্যই আমরা ঠিক করে দেব।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..