উজান থেকে নেমে ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা ও ধরলা নদীর ১১০টি চরের মানুষের। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যেতে শুরু করেছে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ফসলের ক্ষেত। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ঘরবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সময় যতো যাচ্ছে তিস্তার পানি ততই বাড়ছে। তিস্তা ও ধরলার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে চরের মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
২৯ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি যেভাবে হু হু করে বাড়ছে তাতে যেকোনো সময় আরো বিপৎসীমা অতিক্রম করবে। এদিকে তিস্তার পানি চাপে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তিস্তার চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী মানুষ বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে বন্যা হতে পারে। তিস্তার পানি আসা-যাওয়ার খেলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এসব এলাকার মানুষ। আর আমিন মিয়া বলেন, আমরা নদীপাড়ের মানুষ সবসময় আতঙ্কে থাকি। বন্যা, খরা, নদী ভাঙনের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের জীবন অতিবাহিত হয়। ভারতের গজলডোবা গেট রয়েছে। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
খরা মৌসুমে গেটটি বন্ধ রাখা হয় আর বর্ষা এলেই থেমে থেমে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে ভাসিয়ে দেয় ভারত। তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের ৪৪ জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছে। আমরা সতর্ক আছি। আমরা চরের মানুষদের সতর্ক থাকতে বলেছি।