দেশের একমাত্র দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে দেড় মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। আজ ৯ আগস্ট শনিবার সকাল থেকে খনির ১৪০৬ নতুন ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। এর আগে ১৩০৫ পুরোনো কোল ফেজের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ২৩ জুন খনি থেকে কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৪০৬ নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শেষ হলে আবারও উত্তোলনে ফিরেছে খনিতে।
১৪০৬ ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ দশমিক ৯৪ লক্ষ টন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মাইন অপারেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক খান মো. জাফর সাদিক এতথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে খনির ভূগর্ভস্থ ১৩০৫ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়, যা জুন মাস পর্যন্ত চলে। এসময়ের মধ্যে ওই ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন হয়েছে ৫ লক্ষ ১ হাজার টন। ওই ফেজে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তরের জন্য খনির কয়লা উৎপাদন সাময়িক বন্ধ করা হয়।
মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর সাদিক বলেন, ১৪০৬ নতুন ফেইজে ওপেন আবকাট নির্মাণ এবং ১৩০৫ পুরোনো ফেজ থেকে সব যন্ত্রপাতি স্যালভেজ ও যথাযথ মেইনটেনেন্স করে শনিবার সকাল থেকে ১৪০৬ নতুন ফেইজের উৎপাদন কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি ৪র্থ ফেইসের ৩নং ফেজ। কয়লা উত্তোলনের শুরুর দিকে প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে দৈনিক দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টন এবং পরবর্তীতে দৈনিক তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টন হারে কয়লা উত্তোলিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কয়লা সরবরাহের লক্ষ্যে পেট্রোবাংলা এবং বিসিএমসিএল পরিচালনা পর্ষদের দিকনির্দেশনায় বিসিএমসিএল ও কনসোর্টিয়াম এর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় শ্রমিকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ ফেজ হতে স্বাভাবিক কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৩০৫ ফেজ হতে কয়লা উত্তোলন শেষে সকল ইক্যুইপমেন্ট স্যালভেজ, যথাযথভাবে মেইনটেনেন্সকরণ এবং সব যন্ত্রপাতি ১৪০৬ ফেজে ইন্সটলেশন শেষে ৪৬দিন পর এ ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। আগামী ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত এ ফেজ হতে কয়লা উত্তোলিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ফেজ হতে উত্তোলিত কয়লা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বড়পুকুরড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে।