গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দাদন ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম মন্ডল ওরফে সুদারু আনারুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, ভয়ভীতি ও প্রতারণার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
আজ ৯ আগস্ট শনিবার সকালে উপজেলার বেলকা-গাইবান্ধা সড়কের মজুমদারহাট নামক স্থানে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। আনারুল ইসলাম মন্ডল উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর (বুজরুকুটি) গ্রামের মৃত আব্দুর রউফ মন্ডলের ছেলে। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী মুরাদের স্ত্রী শাহিদা বেগম, আব্দুল জলিলের ছেলে আল আমিন, স্থানীয় এক মাদ্রাসার কর্মচারী সরদার মো. আব্দুল হামিদ, মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মাসুদ মিয়া ও মোকছেদ আলীর স্ত্রী লাবলী বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আনারুল ইসলাম মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে সুদের ব্যবসার আড়ালে এলাকার সহজ-সরল ও অসহায় মানুষের অর্থনৈতিক বিপদের সুযোগ নিয়ে মোটা অংকের সুদে টাকা দিয়ে থাকে। টাকা দেওয়ার সময় তিনি ফাঁকা চেক ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে অর্থ ফেরৎ দেওয়ার পরও তিনি উক্ত চেক ও স্ট্যা¤প বিভিন্ন অজুহাতে ফেরৎ না দিয়ে তা ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বক্তরা আরও বলেন, সুদের চক্রে ফেলে ইতোমধ্যে তিনি নিজে বাদী হয়ে ১২০টির বেশি মামলা করেছেন।
এর মধ্যে অধিকাংশই চেক ডিজঅনার মামলা হওয়ায় অসংখ্য পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। তার এই সব হয়রানিমুলক মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়ার কারণে অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া মাত্র ২০ শতাংশ জমির মালিক আনারুল ইসলাম বর্তমানে প্রায় ১০ বিঘা জমি ছাড়াও গাইবান্ধা শহর ও ধর্মপুরে একাধিক আবাসিক ভবনের মালিক হয়েছে।
অভিযোগকারীরা দাবি করেন, এসব স¤পদ তিনি চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্জন করেছেন। মানববন্ধন থেকে বক্তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আনারুলের দাদন ব্যবসা ও মামলাবাজির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।