গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় দোকানের বাকি রাখা টাকা চাওয়ায় ও নতুন করে বাকি না দেয়ায় চিহ্নিত এক সন্ত্রাসীর গুলিতে ওই হোটেল মালিকের ছেলে ও এক নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ ১৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে উপজেলার নাপিত বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুলবিদ্ধ যুবক মো. ওয়াসিম মিয়া বলেন, বুধবার দুপুরে প্রতিদিনের মতো নাপিতের বাজারে হোটেল (চায়ের দোকান) ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার ছেলে ওয়াসীম হোটেলের কাজ করছিলেন।
এসময় একই এলাকার স্থানীয় যুবক গোলাপ মিয়া তার দোকানে খেয়ে চলে যেতে ধরলে পূর্বের বাকি রাখা টাকা ও বর্তমান খাবারের টাকা চান দোকান মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে কিছুক্ষণ পর গোলাপ মিয়া বাড়ি থেকে পিস্তল এনে অতর্কিতভাবে হোটেল মালিককে লক্ষ্য করে পরপর তিনটি গুলি করেন। গুলিতে হোটেল মালিকের ছেলে ওয়াসিম ও তাদের দ্বন্দ্ব নিরসন করতে গিয়ে গোলাপের ভাবি সেলিনা বেগম গুলিবিদ্ধ হন।
গুলির শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে পালিয়ে যান গোলাপ। ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। সন্ত্রাসী গোলাপ সাদুল্লাপুর উপজেলার ঈদুলপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চকদারিয়া গ্রামের মৃত তয়েজ উদ্দিন ছেলে।
গাইবান্ধা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতির ভাগিনা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে তিনি বেপরোয়া জীবনযাপন করতেন। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।