ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে শনিবার সকালে গড়ে উঠল মানবিকতার এক অনন্য নজির। ভারতের নদিয়া জেলার হৃদয়পুর গ্রামের বাসিন্দা পচি খাতুন (৬৫) মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন—বাংলাদেশে থাকা নানাবাড়ির স্বজনরা যেন তাকে একবার হলেও দেখতে পারেন।
মৃত্যুর পর তার পরিবার বিষয়টি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-কে জানালে তারা বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। উভয় পক্ষের আন্তরিক উদ্যোগে মরদেহ সীমান্তে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
শনিবার সকালেই বিএসএফের তত্ত্বাবধানে মরদেহ নিয়ে আসা হয় মুজিবনগর স্বাধীনতা সড়কের ১২৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে। সেখানে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন মুজিবনগর বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার আবুল বাশার ও বিএসএফ চাপড়ার কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার।
পরে মরদেহ সীমান্তে এনে সোনাপুর নতুনপাড়ার আত্মীয়স্বজনদের সামনে রাখা হয় প্রায় ২৫ মিনিট। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং শেষবারের মতো প্রিয়জনকে বিদায় জানান। আশপাশের বহু মানুষও উপস্থিত হয়ে সেই আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী হন।
এরপর মরদেহ আবার ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হয় দাফনের জন্য।
স্থানীয়রা বলেন, সীমান্তে এমন উদ্যোগ শুধু মানবিকতাকেই নয়, দুই দেশের গভীর সম্প্রীতিকেও তুলে ধরে। পচি খাতুনের শেষ ইচ্ছা পূরণের ঘটনায় এলাকাজুড়ে এখন এক ধরনের আবেগঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।