আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন যুবদল সদস্য সচিব আরিফ গাজী ও তার সহযোগী ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি জুয়েল মল্লিক ও জামাল গাজীর শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে নারী-পুরুষসহ দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
অভিযোগে জানা যায়, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া মৌজার ১৩ ও ১৫ খতিয়ানের সাড়ে ৫ একর জমি দীর্ঘ শতাধিক বছর ধরে মন্নাফ হাওলাদার, নয়ন হাওলাদার ও তাদের ওয়ারিশরা ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি তারা ওই জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেন। কিন্তু গত বুধবার বিকেলে যুবদল নেতা আরিফ গাজী, ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি জুয়েল মল্লিক ও জামাল গাজীর নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে এবং ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে জমি দখল করে নেয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জমি দখল ছাড়াও তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে তারা আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছেন না। এরই প্রতিবাদে এলাকাবাসী রবিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। সমাজসেবক মোশাররফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নয়ন হাওলাদার, জহিরুল ইসলাম, মন্নাফ হাওলাদার, আলমগীর হাওলাদার, হারুন, সোনিয়া, কদভানু বিবি, সুমনা আক্তার ও নুরুননাহার বেগম প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদল সদস্য সচিব আরিফ গাজী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। চাঁদাবাজি, সালিস বাণিজ্য ও জমি দখলকে তিনি মূল পেশা বানিয়েছেন। সর্বশেষ জমি দখলের ঘটনায় তার ও সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে যুবদল নেতা আরিফ গাজী স্বীকার করে বলেন, ওই জমি আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। তারা জোর করে ভোগদখল করছে। আওয়ামী লীগ দোসররা আমাকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা যুবদল সভাপতি জাহিদ হোসেন মোল্লা জানান, ঘটনাটি জানার পর কেন্দ্রে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বিষয়টি তার জানা আছে, তবে কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।