বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা ও সদস্য সচিব হুমায়ুন হাসান শাহীনকে দেয়া গণসংবর্ধনায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আমতলী উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক মো. মেহেদী জামান রাকিব ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে নিজ আইনজীবী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন মহসিন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তায় জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতাদের গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় তিনি কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে বটতলায় অবস্থান করছিলেন। ওই সময় যুবদল নেতা মেহেদী জামান রাকিব, ছাত্রদল নেতা সোহাগসহ তাদের সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করে এবং জেলা নেতাদের দেয়া ফুলের তোড়া ছিঁড়ে ফেলে। জীবন বাঁচাতে তিনি একটি ঘরে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা সেখানে ভাঙচুর চালায়।
তিনি আরো বলেন, “আমাকে লাঞ্ছিত করা মানে জেলার বিএনপি নেতাদের লাঞ্ছিত করা।”
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনের শিকার হলেও দল ছাড়েননি জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, এখন নিজ দলের নেতা-কর্মীরাই তাকে অপমান করছে। এ ঘটনায় তিনি যুবদল নেতা মেহেদী জামান রাকিবসহ জড়িতদের শাস্তির দাবি করেন।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত যুবদল নেতা মেহেদী জামান রাকিব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া আওয়ামী লীগের দোসর ছিলেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, “আমি বরগুনা যুবদলের নেতৃত্বে থাকাকালে মহসিন মিয়াকে আমতলী উপজেলা যুবদল সভাপতি করেছিলাম। তিনি দীর্ঘদিন দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সঙ্গে এমন আচরণ ঠিক হয়নি।”