বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নান্দাইলে যুগের হাওরে সেই স্থানে সতর্কবাণী সাইনবোর্ড দিলেন উপজেলা প্রশাসন এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই

ম্যাচ শেষে মিরাজের ভূয়সী প্রশংসা করলেন তামিম

ক্রীড়া ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১৯ মার্চ, ২০২২
  • ৬১৯৫ বার পঠিত

ক্রীড়া ডেস্ক:

বাংলাদেশের ছোড়া ৩১৫ রানের টার্গেটে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল প্রোটিয়ারা। শেষ ১১ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১১৫ রান। ক্রিজে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন ডেভিড মিলার।

৩৯ বলে ৫১ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি। কী করে এ প্রোটিয়া হার্ডহিটারকে থামাবেন সেই চিন্তায় মাথা চুলকাচ্ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বোলিং অস্ত্র তো সব ব্যবহার করে ফেলেছেন, শুধু স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের বেশি ওভার বাকি ছিল। কারণ মিরাজ তার প্রথম ৪ ওভারে সাফল্য পাননি। কোনো উইকেট না পেয়ে ৩৪ রান দেন। যে কারণে মিরাজকে বিরতিতে রেখে বাকিদের দিয়ে বোলিং করান তামিম।

কিন্তু ৪০তম ওভারের আগে তাকে বোলিংয়ে আনতে তামিমকে অনুরোধ করেন মিরাজ নিজেই। ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।এদিকে শরিফুল ইসলামের চোট ও বাকি বোলারদের ব্যবহার করে ফেলায় মিরাজের বিকল্পও খুঁজে পাচ্ছিলেন না তামিম।

অনন্যোপায় হয়ে মিরাজের হাতেই বল তুলে দিলেন তামিম। আর স্পিনার দারুণ বল করলেন। প্রথম ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে কোনো উইকেট না পাওয়া সেই মিরাজেই  কুপোকাত হলো প্রোটিয়ারা। পরের ৫ ওভারে ২৭ রান দিয়ে বিধ্বংসী মিলারসহ ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি।

মিরাজের এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের কল্যাণে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথমবার কোনো ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ দল।

ম্যাচ শেষে মিরাজের ভূয়সী প্রশংসা করে অধিনায়ক তামিম বলেন, ‘সব দলে মিরাজের মতো ক্যারেক্টার প্রয়োজন আছে। কারণ, প্রথম ৪ ওভারে ৩৪ রান দেওয়ার পর সে আমার কাছে এসে বলে, আমাকে বল দেন, আমি খেলা বদলে দেব। সে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিল। এটি অধিনায়কের কাজ সহজ করে দেয়, যখন আপনার খেলোয়াড়রা নিজেদের ওপর আত্মবিশ্বাসী থাকে। সবসময় হয়তো ফল আমাদের পক্ষে আসবে না, কখনো কখনো আমাদের বিপক্ষেও যেতে পারে। তবে আমি খুব খুশি যে আত্মবিশ্বাসটা তার মধ্যে আছে। এমন চাপের মধ্যে ডানহাতির সামনে ছোট বাউন্ডারিতে বোলিং করা, উইকেট এনে দেওয়া, আমার মতে, সেও আমার ম্যান অব দ্য ম্যাচ।’

নবাগত ইয়াসিরের প্রশংসাও করলেন তামিম।  বললেন, ‘ছেলেদের নিয়ে অনেক গর্বিত, সবাই যেভাবে খেলেছে। শুরুতে লিটন ও আমি ভালো একটা ভিত গড়ে দিয়েছি। সাকিব ও ইয়াসির অবিশ্বাস্য খেলেছে। আমার মতে, ইয়াসিরের ইনিংস স্পেশাল ছিল। যেভাবে সে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামলেছে। শেষে মিরাজের দুই ছক্কা, আফিফের একটি করে চার-ছক্কা, রিয়াদ ভাইয়ের ২৫ রান সবকিছুই গুরুত্ব বহন করে। অবশ্যই এটি অনেক বড় জয় আমাদের জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকায় (দ্বিপাক্ষিক সিরিজে) আগে কখনও জিতিনি, তাই এটি বিশেষ জয়। ’

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..