শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আমতলী থানা থেকে জব্দকৃত জাটকা ইলিশ লুট! এমন আলোচিত ঘটনা জানেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসুস্থ সাবেক মেয়রের পাশে মানবিক নেতা: হাসপাতালে সাক্ষাৎ করলেন আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান তাড়াইলে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে ‘বিসিক উদ্যোক্তা মেলা-২০২৫’ নলছিটিতে ইয়ুথ আউটরিচ কমিউনিকেইটার টিম গঠনের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণজাগরণ দল পটুয়াখালী সদর উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন ছাগলে কলমি শাক খাওয়াকে কেন্দ্র করে হামলা — একই পরিবারের চারজন আহত, বরগুনা-১ আসনের মনোনয়নে ক্ষুব্দ আমতলী-তালতলী প্রান্তিক জনগোষ্ঠি, বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এমরান চৌধুরী মোরেলগঞ্জে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক

নির্মূল করা হউক মাদকের আতুরঘর

সাইদুজ্জামান খোকন:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২
  • ৬১৯৭ বার পঠিত

সাইদুজ্জামান খোকন:

জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত এই আবাসন:
রানীপুর গড়িয়াবুনিয়া বহু বছরের একটি পুরাতন ঐতিহ্যবাহী বাজার। এখানে ছিল মাত্র একটি খেলার মাঠ। এই মাঠটি নির্মাণ করেছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল কাদের গাজী। যে মাঠে কেটেছে আমাদের শৈশব। বাপ-চাচারাও এই মাঠে খেলেছেন। এখানে উৎসব বসতো খেলাধূলার। অনেক দূর-দুরান্ত থেকে এখানে খেলোয়ার আসতো। এই মাঠে বসতো বিভিন্ন উৎসব পার্বনের প্যান্ডেল। এলাকার অধিকাংশ মানুষ যা অনায়াসে উপভোগ করতো। ঐ সময় ছিল না মাদক নামক কোন মরণ নেশার ছোঁবল। এক সময় বাজারটি ছোট থাকলেও ব্যাপ্তি ছিল অনেক এলাকা জুড়ে। এই বাজারে আসতো বিষখালী নদীর এপার ওপারের অধিকাংশ পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা। বাজারটি এখন অনেক বড় হলেও হারিয়েছে তার আগের ঐতিহ্যের জৌলুস। এলাকার মানুষ একটু সচেতন হলেই বাজারটির আগের সেই ঐতিহ্যের জৌলুস ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
এক সময় এই বাজারটির মাঠে সরকারিভাবে নির্মাণ করা হয় গরীব মানুষের বসবাসের জন্য টিনসেডের আবাসন। তখনকার মানুষ সচেতনতার অভাবে মাঠটি রক্ষার জন্য কেহ বাধা দেয়নি। ঘরগুলো নির্মাণ করার পর থেকেই হারাতে থাকে বাজারটির ঐতিহ্যের জৌলুস। শুরু হয় মাদক নামক মরণ নেশার ছোঁবল। পরিত্যাক্ত ঐ ঘরে বসেই সেবন করা হয় মাদক। যা এক পর্যায় এলাকার বিভিন্ন আনাছে-কানাছে ছড়িয়ে পড়ে। বিপদগামী হয়ে পড়েছে অনেক যুবক। বর্তমানে এই আবাসন ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে অধিকাংশ পরিবার আবাসন ছেড়ে চলে গেছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিবিচিনির ৬নং ওয়ার্ডে ভূমিহীনদের মধ্যে ১০টি ঘর বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এর পরই শুরু হয় ঘুষ বাণিজ্যে। এ সুযোগে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী আকন ও তাঁর লোকজন ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জনপ্রতি ৩০-৫০ হাজার টাকা করে তুলছেন। বিষয়টি মেম্বর ইউসুফ আলী আকন অস্বীকার করলেও আবাসনে বসবাস করা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শের আলীর স্ত্রী রোকেয়া বেগমের কাছে ঘর বরাদ্দ পেতে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন মেম্বার ইউসুফ আলী আকন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রোকেয়া বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে লেখা রয়েছে ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী আকন ও তাঁর চক্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি ৩০-৫০ হাজার টাকা দাবি করছেন। এ ঘটনার পর পরই এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
একসময় বীরমুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন গাজী, কমান্ডার আব্দুল খালেক মিনা, মরহুম আব্দুর রশিদ মোল্লাসহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা এই মাঠটিতে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে ছিলেন। যা বর্তমান পৌর মেয়র বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম গোলাম কবির অবগত আছেন। জরাজীর্ণ আবাসন উচ্ছেদ করে এই মাঠটি উদ্ধার করার জন্য স্থানীয় ছাত্র-যুবক, মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মানুষ জেগে উঠেছে। তাদের প্রাণের দাবী এই মাঠটি উদ্ধার করে ফিরিয়ে দেয়া হউক স্থানীয় মানুষের বিনোদনের শেষ জায়গাটুকু। ফিরিয়ে দেয়া হউক বহু বছরের পুরাতন রানীপুর গড়িয়াবুনিয়া বাজারের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য। নির্মূল করা হউক মাদকের আতুরঘর জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত এই আবাসন। অভিনন্দন এলাকার জেগে উঠা ছাত্র-যুবক সকল জনতাকে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..