শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তাড়াইলে জামায়াতের গণ দাওয়াতি সমাবেশ চিলা ইউনিয়নবাসীকে টুলু শিকদারের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের ছায়াতলে আসার আহ্বান ড. সামিউল হক ফারুকীর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস ক্যারিয়ার মিটআপ ২০২৫ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আবৃত্তি সংঘের ১১তম আবর্তনের উদ্বোধন বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুজ্জীবিত করার জন্য টাস্কফোর্সের পরামর্শ প্রতিবেদন আগামীকাল অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজারে প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ব্যাপক আয়োজনে বাঙলা কলেজে তারুণ্যের উৎসব তাড়াইলে ৩০০ বস্তা ইউরিয়া সারসহ ট্রাক জব্দ

বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেও বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জনে সক্ষম হয়েছি :প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৮৬৯ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেও আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ (সোমবার) সকালে আগারগাঁও কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের যে অধিকার আছে সেটা নির্দিষ্ট করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে আইন প্রণয়ন করে। তখনও জাতিসংঘে এই আইন হয়নি। জাতিসংঘে এই আইন হয়েছে ১৯৮২ সালে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই এই আইন প্রথম পাস করে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যেমন সমুদ্র আছে তেমন বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। এই অঞ্চলের সব ধরনের নিরাপত্তা বিধান করা, সব সম্পদ আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগানো একান্ত অপরিহার্য। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে এদেশে আমাদের যে অধিকার আছে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ১৯৭৫ সালের পরে যারা অবৈধভাবে সরকার গ্রহণ করেছিল তারা কিন্তু এই ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমি জানি না, তাদের এই ব্যাপারে সম্মুক ধারণা ছিল কি না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্যোগের ফলে ১৯৯৬ সালে কিছু কাজ করে যাই, দ্বিতীয় দফা সরকারে আসার পর থেকে আমরা আবার উদ্যোগ নেই এবং সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার তা নিশ্চিত করি। এক দিকে মিয়ানমার, অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক রেখেও আমরা আমাদের বিশাল সমুদ্র সীমা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। আমি চাই আমাদের কোস্টগার্ড আধুনিক, প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, উন্নত, শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহণ, যাত্রী পরিবহন সকলের নিরাপত্তা বিধানে আপনারা বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছেন। আপনাদের দায়িত্বপালনে বাংলাদেশের জনগণই সব থেকে লাভবান হবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। ঘরে ঘরে আমরা আলো জ্বালছি। দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না। ভূমিহীন মানুষদের আমরা বিনামূল্যে ২ কাঠা জমি ও ঘর তৈরি করে জীবন জীবিকার সুযোগ করে দিচ্ছি। নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকের জীবন যেন উন্নত সমৃদ্ধশালী হয়, প্রত্যেকের সন্তান লেখাপড়া শিখবে, আধুনিক ও ডিজিটাল পদ্ধতি শিখবে, তারা নিজেরা উপার্জন করবে, দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। আমাদের জনগোষ্ঠীকে স্মার্ট জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..