সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আমতলীতে নারী ইউপি সদস্যের ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ। তাড়াইলে প্রশংসায় ভাসছেন ৫৬৫দিনে হিফয সম্পন্ন করা হাফেজ ফুয়াদ ২৬ বছর থেকে ছাত্র সংসদ নেই বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে, অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই নান্দাইলে রাজগাতী ইউনিয়নে দুটি উঠোন বৈঠক ও বিএনপির অফিস উদ্বোধন করেন ইয়াসের খান চৌধুরী মুরাদনগরের পরমতলায় বিএনপির নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত আমতলীতে ক্রাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র দুই বংশের সদস্যদের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত-২৫ নলছিটি উপজেলা পূজা উদযাপ পরিষদের কমিটি গঠিত ফিউচার মুরাদনগর মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত মোরেলগঞ্জে যৌতুকের দাবির অভিযোগে গৃহবধূ নির্যাতন, স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

শেরপুরের গারো পাহাড়ে সুফল বাগান সৃজনের নামে সরকারি অর্থ হরিলুট

শেরপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৫৮৬৯ বার পঠিত

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে সুফল বাগান সৃজনে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে।

এ অভিযোগ স্থানীয় বাসীন্দাদের। এতে সুফল বাগান সৃজনে সরকারি উদ্যেশ্য ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও গারো পাহাড়ের প্রানবৈচিত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষে ২০১৮সাল থেকে টেকসই বন জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের মাধ্যমে বাগান সৃজনের কাজ হাতে নেয় সরকার।

 

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বন মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নে শেরপুরের গারো পাহাড়ের শতশত হেক্টর জমিতে সৃজন করা হয় দেশী প্রজাতীসহ ঔষুধী গাছের চারা।

বন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। রাংটিয়া ফরেস্ট রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা রেঞ্জ কর্মকর্তা ইলিছুর রহমান ও মকরুল ইসলাম আকন্দের মাধ্যমে বাগানগুলোর কাজ সম্পূর্ন করা হয়।

কিন্তু বাগান সৃজনে নয়- ছয়ের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে।

জানা গেছে, দেশী প্রজাতির ও ঔষধী চারা রোপনে জৈবিক সার ব্যবহার, ঝুপঝাড় পরিস্কার, বাগান পরিচর্চা,বাগান পাহাড়াসহ বিভিন্ন স্তরে অর্থ বরাদ্দ দেয় সরকার।

কিন্তু চারা রোপনে সকল প্রকার নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়া হেক্টর প্রতি যে পরিমানের চারা রোপন করার কথা, সে পরিমানে চারা রোপন করা হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তার পাশে জনসম্মুখে কিছু চারা রোপন করে ভিতরে রাখা হয়েছে ফাকা।

 

অভিযোগ রয়েছে, প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো দেশি প্রজাতির চারা গাছ সংরক্ষণ করে সেখানে চারা রোপন দেখিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। নতুন করে সেখানে কোন চারা রোপন না করেই বাগান সৃজন দেখিয়ে সরকারি অর্থ হরিলুট করা হয়েছে ।

 

ফলে এসব বাগান গুলোতে সাইনবোর্ড থাকলেও বাস্তবে কোন চারা রোপন করা হয়নি। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে ছোট গজনী, গজনী, বাকাকুড়া, তাওয়াকুচা, রাংটিয়া, নওকুচি,গান্দিগাঁও, হালচাটি, ভেরভেরি, মালিটিলাসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক হেক্টর জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

কিন্তু সেখানে কোন বাগান নেই। আবার কোন কোন স্থানে চারা রোপন করা হলেও দেখভাল, পরিচর্যাচাও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে তা আর আলোর মুখ দেখছে না বাগানগুলো।

জানা গেছে, মাঝে মধ্যে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাগান পরিদর্শনে এলে যেখানে কিছু চারা রোপন করা হয়েছে সেখা নিয়ে দেখানো হচ্ছে ।

বাকি সব জায়গাগুলো তাদের দেখানো হয় না। এ ছাড়া বন কর্মকর্তারা একই জায়গার বাগানের ছবি দিয়ে ভারাটিয়া সাংবাদিকদের মাধ্যমে সুফলের সফলতা নিয়ে দেখানো হচ্ছে প্রিন্টও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়।

ভারাটিয়া সাংবাদিকদের মাধ্যমে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে। বাস্তবে তা নেই। পুরো পাহাড় এলাকায় সুফল বাগানের মধ্যে ফাকা পরে আছে। এ বিষয়ে রাংটিয়া রেঞ্জের ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল করিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এক সপ্তাহ পুর্বে এখানে যোগদান করেছেন। বিষয়টি তার জানা নেই। তবে পুরো পাহাড় তদন্ত ছাড়া তিনি কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান।

এবিষয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন এব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অথবা কেউ লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..