বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ঢাকাস্থ মির্জাগঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের পক্ষ থেকে এসিআই লিঃ এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর’কে সম্মাননা স্মারক প্রদান মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্টুডেন্টস’ ফোরাম ঢাকা’র আংশিক নতুন কমিটি ঘোষণা জাতীয় দৈনিক ‘দি কান্ট্রি টুডে’ পত্রিকার সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন সম্পন্ন তাড়াইলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এমপি পদপ্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ আমতলীতে বাঁশ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বৃদ্ধ নিহত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জমিতে অবৈধ ভবন নির্মাণ বন্ধ করল প্রশাসন নলছিটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত ভারতে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত চুয়াডাঙ্গা এশিয়া বিস্কুট ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী রেজাউল হক বিশ্বাস আর নেই ডাকসু নির্বাচন: যা জানা দরকার

তাড়াইলে বৃষ্টির অভাবে পাট চাষে ধস, সোনালী আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত কৃষক

মো. আনোয়ার হোসাইন জুয়েল, তাড়াইল:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৭৭৬ বার পঠিত

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সোনালী আঁশ পাট চাষে সুদিন ফিরেছে কৃষকের। শস্য ভান্ডার খ্যাত তাড়াইল উপজেলায় এ বছরের পাট মৌসুমে বিভিন্ন এলাকায় পাট কাটা, জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৭০৪ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। গত বছর ৮২৩ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল। বৃষ্টির খরায় এবার চাষ ১১৯ হেক্টর কম হয়েছে। এ মৌসুমে উপজেলায় দেশি ১০০ হেক্টর, তোষা ৫০ হেক্টর, কেনাফ ৩৫০ হেক্টর এবং মেস্তা ২০৪ হেক্টরসহ মোট ৭০৪ হেক্টর জমিতে কৃষকরা পাট চাষ করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে তাড়াইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় পাট কেটে তা বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিচ্ছে কৃষক। কৃষকরা পাট কেটে নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো এবং বাজারে বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে, নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর পাট চাষে ঝুঁকেছে কৃষক। গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক পাট চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছিলেন। অনেক কৃষকই বলছেন পাট চাষিদের সুদিন ফিরেছে।

উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের বেলংকা গ্রামের কৃষক তারা মিয়া বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। পাট উৎপাদন হয় প্রায় ৮-১০ মণ। যার বাজারদর প্রায় ২২-২৪ হাজার টাকা। এছাড়া বিঘা প্রতি প্রায় ২ হাজার টাকার পাটকাঠি পাওয়া যায়। গত বছর ভরা মৌসুমে প্রতি মণ পাট ২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ক্রমশই পাটের দাম বাড়তে থাকে। গতবছর সর্বশেষ প্রায় ৪ হাজার টাকা মণ পাট বিক্রি হয়েছে। ফলে যারা পাট ভরা মৌসুমে বিক্রি না করে রেখে দিয়েছিলেন তারা বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ১০-২০ হাজার টাকা লাভবান হয়েছেন। এ বছর ভালো দামে পাট বিক্রি করতে পারবে এমনটাই আশা করছেন পাট চাষিরা।

তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিকাশ রায় জানান, গত বছর পাটের আবাদকৃত জমির পরিমান ছিল ৮২৩ হেক্টর । কিন্তু এ বছর বৃষ্টি ও পানি কম থাকায় পাটের আবাদ কিছু কম হয়েছে। উপজেলার ধলা, জাওয়ার, দিগদাইড় ও তালজাঙ্গা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পাট চাষ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, পাট চাষিদের সুদিন ফিরেছে। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। তাই অনেক কৃষক পাট চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আগামীতে পাট চাষিদের নিয়ে আরো ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..