বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
এলডিসি উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে স্পষ্ট হবে সরকার কতটুকু সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারবে : প্রেস সচিব দুমকিতে প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার ফাঁদে জড়িয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আড়াইহাজারে সামাজিক নিরাপত্তা ও মাদক প্রতিরোধে করনীয় শীর্ষক আলোচনা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে উৎসবমুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন ॥ সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা নববর্ষ উদযাপন তাড়াইল প্রশাসনের উদ্যোগে ঝাকজমকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন মনোহরদীতে পঞ্চাশকুড় দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে লাঞ্চিত: থানায় অভিযোগ সাভারে ব্যাক টু ব্যাক ছিনতাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে তাড়াইলে বিক্ষোভ মিছিল

মির্জাগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে ভারী যান চলাচল, মূহুর্তেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

জিয়াউর রহমান (নিজস্ব প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৭৬৮ বার পঠিত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দুইটি ঝুকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত ২০-২২ টন ওজনের মালবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এ ব্রিজের উপর দিয়ে এমন ভারি যানবাহন চলাচলে যেকোনো মূহুর্তেই ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।

জানা যায়, অন্তত ৩০-৩৫ বছর আগে এ ব্রিজ দুটি নির্মিত হয়। ব্রিজ দুটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ইতিপূর্বে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ ব্রিজ দুটি ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করে ৫ (পাঁচ)  টনের অধিক ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ করে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তির সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। তারপরও থেমে নেই এ ব্রিজের উপর দিয়ে অধিক ভারি যানবাহন চলাচল।

এছাড়া মির্জাগঞ্জ – পটুয়াখালী সড়কের কপালভেরা ও গাবতলা নামক স্থানে অবস্থিত এ ব্রিজ দুটি অতি পুরনো হওয়ায় পাটাতনগুলো মরিচা ধরে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং পাটাতন সরে ফাঁকা হয়ে গেছে। প্রতিদিন এ ব্রিজের উপর দিয়ে বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, সাধারণ পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে। স্থানীয় মামুন গোলদার বলেন, ‘ব্রিজ দুটি ঝুকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ হলেও তার উপর দিয়েই প্রতিনিয়ত চলছে ২০-২২ টন ওজনের ভারী মালবাহী যানবাহন। আর ব্রিজের উপর মরিচা ধরে গর্ত ও পাটাতন সরে ফাঁকা হওয়ার কারণে প্রতিদিনই রিক্সা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও লোকজন গর্ত ও ফাঁকা অংশে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।’ এ বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে যাতে ব্রিজের ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

স্থানীয়রা বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজ দুটির অনেক বয়স হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। তা স্বত্বেও এ ব্রিজের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দিনে এবং রাতের আঁধারে ভারি মালবাহী ট্রাক চলাচল করে। এতে যেকোনো মুহুর্তেই ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।’ তারা সরকারের কাছে এ ব্রিজ দুটি সরিয়ে পাকা সেতু নির্মাণের দাবী জানান। মধ্য মির্জাগঞ্জ গোলাপ গোলদার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার জামাল হোসেন বলেন, ‘ওই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন শত শত সাধারণ মানুষ ও স্কুল-মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। তাই যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপদে যাতায়াতের স্বার্থে দ্রুত ব্রিজ দুটির সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।’ এবিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচলের ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ মাসের সমন্বয় সভায়ও এই বিষয়টি উপস্থাপন করব। সড়কটির অবস্থাও খুবই বেহাল। যেহেতু ওই রাস্তাটি সড়ক ও জনপথের, তাই তাদের পক্ষ থেকে যদি ওয়েট স্কেলের ব্যবস্থা করে, তাহলে আমাদের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে সুবিধা হবে।’ পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের, য়ে আলোচনা করতে হয়। তাছাড়া এসব যন্ত্রপাতি আমাদের দেশে খুবই কম। আপাতত গাড়িগুলো যেন ওই রাস্তা দিয়ে না যেতে পারে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ভালো হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..