নাগাতার বৃষ্টিতে আমতলী উপজেলায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জলকপাটগুলো থেকে পর্যাপ্ত পানি নিস্কাশন না হওয়ায় এমন জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
পানির নীচে তলিয়ে গেছে আউশের খেত ও আমনের বীজতলা। দুচিন্তায় উপজেরার ৩০ হাজার কৃষক পরিবার। এতে আউশের লক্ষমাত্রা অর্জিত হতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ রাসেল।
জানাগেছে, জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে জুলাই মাসের ৮ মঙ্গলবার পর্যন্ত নাগাতার বৃষ্টিতে উপজেলার তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে আউশের খেত ও আমন ধানের বীজতলা পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। আউশের খেত ও আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়বে কৃষকরা। ফলে উপজেলার আউশের খেত ও আমনের বীজতলা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, উপজেলায় ৬ হাজার ৫৮৮ হেক্টর আউশ ধান রোপন এবং ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। আউশের ধান বের হওয়ার সময় হয়েছে। কিন্তু পানির নীচে তলিয়ে থাকায় আউশ ধান বের হতে পারছে না। এতে আউশের খেত ও আমনের বীজতলা পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে আউশের লক্ষমাত্রা অর্জিত হতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে আমতলী উপজেলার কুকুয়া, চাওড়া, আঠারোগাছিয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন ঘুরে দেখাগেছে, আউশের খেত ও আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। মাঠ ঘাট পানিতে থৈ থৈ করছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষক শিবলী শরীফ বলেন, পানিতে আউশের খেত ও আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। আউশ ধান বের হওয়ার সময় কিন্তু পানিতে তলিয়ে থাকায় বের হতে পারছে না।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাইনবুনিয়া গ্রামের ইব্রাহিম চৌকিদার বলেন, স্লুইজ গেট দিয়ে পযাপ্ত পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। সকল মাঠে শুধুই পানি আর পানি। আউশের খেত নিয়ে বেশ দুচিন্তায় আছি।
কুকুয়া গ্রামের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, একেতো বৃষ্টি তারপর জলকপাটগুলো দিয়ে পযাপ্ত পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। ফলে আউশের খেত ও আমনের বীজতলা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মোঃ রাসেল বলেন, নাগাতার বৃষ্টির পানি আউশের খেতের বেশ ক্ষতি হবে। দ্রæত পানি নেমে গেলে সমস্যা হবে না। তিনি আরো বলেন, আউশের বীজতলা তেমন করা হয়নি। যা করা হয়েছে তার ক্ষতি হলেও কৃষকরা পুসিয়ে নিতে পারবে কিন্তু আউশ ধানের ক্ষতি পোসানো সম্ভব না।