বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
খলাপাড়া সি এন্ডবি রোড থেকে সরাসরি রাস্তা চায় বনাটি গাংগাইল পাড়াবাসী বিয়ানীবাজারে গরমের তীব্রতা, দূর্ভোগে মানুষ মেহেরপুরে করোনা প্রতিরোধে আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ জেলা প্রশাসকের ঐতিহ্যবাহী পুরুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আহবায়ক কমিটির সভাপতি হলেন সাংবাদিক আব্দুস সাত্তার বরগুনায় ডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু, আক্রান্ত ১ হাজার ৮৩৮ জন আমতলীতে মিথ্যা মামলা করায় বাদীর কারাদণ্ড আমতলীতে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস ‎বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ শত ছাড়িয়েছে: পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পটুয়াখালীতে ব্যবসায়ীর জমি যবর দখল করলো ছুটিতে আসা পুলিশ সদস্য কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ভুয়া সাংবাদিক আটক

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেনের

সাইদুল ইসলাম মন্টু (বিশেষ প্রতিবেদক)
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৬২৩৫ বার পঠিত

দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পার হলেও মন্ত্রণালয়ের গেজেটে নাম আসেনি সাহসী যোদ্ধা জাকির হোসেন। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন সব ধরনের সুযোগ সুবিধা থেকে। জীবনের শেষ সময়ে এসে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে তালিকায় নিজের নাম দেখতে চান দেশ মাতৃকার টানে ঝাঁপিয়ে পড়া এই মুক্তিযোদ্ধা।
জানা গেছে, ১৯৫১ সালে জন্ম গ্রহণ করা জাকির হোসেনের বাড়ি বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের গেরামর্দন গ্রামে। তার পিতার নাম আজাহার আকন। ১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় তখন তার বয়স ২০ বছর। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে শত্রুমুক্ত করতে অন্যদের সঙ্গে তিনিও ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তকিপুর ক্যাম্প থেকে ২০ দিনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে ৯ নং সেক্টরে পটুয়াখালী সাব ডিভিশনে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেন। তার সহযোদ্ধা ছিলেন মো. ফারু আলম (লাল মুক্তিবার্তা নং- ০৬০৬০৩০১০২), মো. মোশারেফ হোসেন (লাল মুক্তিবার্তা নং-০৬০৬০৩০১৪৬), মো. শাহজাহান (লাল মুক্তিবার্তা নং- ০৬০৬০৩০১৪৮)।
এরপর দেশ স্বাধীন হলো। কেটে গেলো ৫০ বছর। জীবন যুদ্ধে হার না মানা বীর যোদ্ধা জাকির হোসেনের নাম তবুও গেজেটভুক্ত হয়নি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করার পরেও অজানা কারণে সুফল পাননি তিনি। শারীরিক নানা জটিলতায় বাসা বেঁধেছে অসুখ। স্টোক করে হারিয়ে ফেলেছেন কথা বলার শক্তিও। জীবন সায়াহ্নে এসে এখনও তিনি কেবলমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান।
তার সন্তান লিপি আক্তার অভিযোগ করেন, তার বাবা ভারতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার কাগজপত্র নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে দীর্ঘদিনেও কোন কাজ হয়নি। সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য অনেক সহযোগিতা করছে। তার পরিবারের দাবী বাবার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টি যেন দিতে পারেন এই তাদের চাওয়া। গেজেটে যেন তার নামটি প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয়রাও বলেছেন, তিনি মুুক্তিযোদ্ধার সাথে জড়িত ছিলেন। এখন তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে।
তবুও তার স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সুহৃদ সালেহীন বলেন, তিনি যে কোন ধরনের সহযোগিতা চাইলে উপজেলা প্রশাসন সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর যাতে এ বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে সে জন্য কাজ করবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..