শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র তাড়াইলে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহে যুবকের কারাদন্ড

ভোলায় কমতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজির দাম

সাব্বির আলম বাবু (ভোলা ব্যুরো চিফ):
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬১২৯ বার পঠিত

ভোলা জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সবজির আমদানি বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে দাম। প্রায় প্রতিটি শাক-সবজিতে সর্বনিম্ন ৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত মূল্য কমেছে।

শহরের সবচে বৃহৎ কাঁচা পাইকারী পণ্যের আড়ৎ নতুন বাজারের খাল পাড় সড়কের কাঁচা বাজার ঘুরে আজ শুক্রবার সকালে এমনটাই দেখা গেছে। পাইকারী বাজরে দাম কমায় এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। এতে করে স্বস্তি প্রকাশ করেছে ক্রেতারা।

কাঁচা পণ্যের আড়ৎদার মো. শাজাহান জানান, আজ মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা কমেছে। বেগুন ৫ টাকা কমে ২৪-২৫ টাকা। ফুলকপি ১০ টাকা কমে ৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাঁধা কপি ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা। সীম ৩২-৩৫ টাকা কেজি, যা কমেছে ১০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৩০-৩৫ টাকা, মূল্য কমেছে প্রতিটিতে ৩০ টাকা। টমেটো (পাঁকা) বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা, দাম কমেছে ৫০ টাকা। টমেটো (কাঁচা) ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা।

তিনি আরো জানান, বরবটি ৫ টাকা কমে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনেপাতা ৩০ টাকা কমে কেজিতে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা। দুন্দুল ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা। এছাড়া পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়োর দাম আগের মতই রয়েছে। একইসাথে শীতের লাল শাক, পালং শাক ও মুলার শাক আটিতে কমেছে ৩ থেকে ৫ টাকা। কাঁচা মরিছ কেজিতে কমেছে ১০ টাকা।

জেলা কাঁচা বাজার আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শীত বাড়ার সাথে-সাথে শীতের সবজির আমদানী বেড়েছে জেলায়। আর এতে করে দামও কমছে। জেলায় স্থানীয়ভাবে সবজি উৎপাদন হলেও মূলত যশোর থেকে বর্তমানে সবজি আসছে। এর কারণ আমাদের এখানে প্রাকৃতিক কারণে একটু দেড়িতে সবজি চাষ হয়। ইতোমধ্যে লোকাল সবজিও বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই স্থানীয় সবজির সরবারহ বাজারে বৃদ্ধি পেলে দাম আরো কমে যাবে।

সব মিলিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে দাম আরো কমার আশা করেন তিনি। এদিকে জেলায় এবছর ১১ হাজার ২৪৯ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে কৃষি বিভাগ। নির্ধারিত জমি থেকে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৮২ টন শাক-সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আবার অনেক কৃষক আগাম শীতকালীন শাক-সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..