শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বিডিআর হত্যাকাণ্ডবিষয়ক তথ্য চেয়ে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি বিশ্বে পূর্ব শত্রুদের মিত্রে পরিণত হওয়ার অনেক উদাহরণ রয়েছে : আজাদ মজুমদার পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধির সাক্ষাৎ নান্দাইলে যুগের হাওরে পুলিশ ডিউটি বক্সটি সংস্কার চায় এলাকাবাসী প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান চায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র তাড়াইলে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু মুরাদনগরে এসএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহে যুবকের কারাদন্ড

গ্রেপ্তার হতে পারেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৮৮১ বার পঠিত

নিষিদ্ধ উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহের মামলায় গ্রেপ্তার হতে পারেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির সম্প্রচার সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ চ্যানেল।

ইরমান খান ও মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের এই উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করতে ইতোমধ্যে চার সদস্যের একটি টিমও গঠন করেছে এফআইএ এবং সেই টিমের সারসংক্ষেপ সংস্থার মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। মহাপরিচালক অনুমোদন দিলেই অভিযান শুরু হবে।

পাকিস্তানের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যাক্ট অনুযায়ী, যে কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য বিদেশি অর্থ বা তহবিল গ্রহণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। যদি কোনো দল সরকারে থাকা অবস্থায় বিদেশি তহবিল গ্রহণ করে— সেক্ষেত্রে ওই দলের শীর্ষ নেতা রাজনীতি ও জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনের জন্য আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন।

সফল ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খানের দল পিটিআই ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়।পাকিস্তানের ক্ষমতাকাঠামোর শীর্ষে অবস্থান করা সামরিক বাহিনীর আশীর্বাদ নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও হন ইমরান।

কিন্তু সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব ও পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে ২০২১ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।

ইমরান খান ও তার দল পিটিআইয়ের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের ১০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে এই মামলাটি করেন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আকবর এস বাবর, যাকে গুরুতর অর্থনৈতিক অনিয়মের জেরে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছিল, ইমরান খান ও তার দলের ১০ জন জ্যেষ্ঠ সদস্য বিদেশি উৎস থেকে অর্থ নিয়েছেন এবং ঠিক কী উদ্দেশে নিয়েছেন, তা পরিষ্কার নয়।

দীর্ঘ চার বছর এই মামলাটি নিষ্ক্রিয়ভাবে পড়েছিল। পরে ২০১৮ সালে পাকিস্তানের জাতীয় নিরীক্ষা কমিটি মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তারপর চার বছর ধরে এই অভিযোগের ওপর ৯৫টি শুনানি চলে।

শেষে ২০২২ সালে জাতীয় নিরীক্ষা কমিটি জানায়, ইমরান খান ও তার দলের অভিযুক্ত ১০ জনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং পার্টির নেতৃত্ব বিদেশি তহবিল গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত ফরেন এক্সচেঞ্চ অ্যাক্টের গুরুতর লঙ্ঘণ করেছেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..