রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
যথাসময়ে ট্রেনের কাজ শেষ না করায় পটুয়াখালী পৌর শহরে জলাবদ্ধতা কিশোরগঞ্জে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সম্মেলন অনুষ্ঠিত তালতলীতে গাছের নিচে চাপা পড়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু বেতাগীতে ইউপি সদস্য কেনানের ইন্তেকাল, এলাকায় শোকের ছায়া তাড়াইলে ইসলামী আন্দোলনের ইউনিয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধ: গ্রেফতার করতে পারবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা- প্রসিকিউটর গাজায় ১৯ মাসে ১৭ হাজারের বেশি শিশু নিহত : জাতিসংঘ সংস্কার, বিচার, নির্বাচন এ তিনটি কঠিন দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছি : রিজওয়ানা হাসান পটুয়াখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিবন্ধী ও নারীর উপর দেশীয় অস্ত্র মহরা দিয়ে হামলার অভিযোগ বিসিএসআইআরে ফ্যাসিস্টের দোসররা বহাল তবিয়তে

বিসিএসআইআরে ৬ কোটি টাকার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের টেন্ডারে অনিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫
  • ৫৭৬৮ বার পঠিত

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) প্রায় ৬ কোটি টাকায় ৪টি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে অভিযোগে পাওয়া গেছে । সূত্রে জানা গেছে, মূল্যায়ন কমিটির চূড়ান্ত সভার আগেই গবেষণা সম্মানয়কারী ও মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব ড. মো: নুরুল হুদা ভূঁইয়া, কমিটির আর এক প্রভাবশালী সদস্য ও ঢাকা গবেষণাগারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো: হোসেন সোহরাব, ইনারস-এর পরিচালক ড. মো: সেলিম খান, এসএসও সত্যজিৎ রায় রনি, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো: বেনজরি আহমেদ ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন গোপনে এবং অবৈধভাবে ১ কোটি টাকার বিনিময়ে ৪টি কোম্পানীকে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের টেন্ডার ভাগ করে দিয়েছে। যার ফলে গত ২৩ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটির চূড়ান্ত সভা শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, ধানমন্ডির এ্যামব্রোসিয়া রেষ্টুরেন্টে গত ২৩ মার্চ বিজ্ঞানীদের ইফতারের নামে নিম্নোক্ত ৪টি কোম্পানী থেকে ৬০ লাখ টাকা অগ্রিম লেনদেন করা হয়েছে। সাজানো দরপত্রে মোট ৮টি কোম্পানী টেন্ডারে অংশগ্রহন করে। কিন্তু গোপনে ৪টি কোম্পানীকে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের টেন্ডার ভাগ করে দিয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ, ড.মো: নুরুল হুদা ভূঁইয়া বহু বছর আগে ছাত্রদলের নেতা পরিচয় ভাঙিয়ে ৫ আগষ্টের পর ২০ জন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে গবেষণা সমন্বয়কারীর পদ বাগিয়ে নিয়েছেন, ড. মো: হোসেন সোহরাব প্রজেক্টে ইতোমধ্যেই কোটি টাকার অডিট আপত্তি হয়েছে। ড. মো: সেলিম খান: প্রজেক্টে ১০ কোটি টাকার অডিট আপত্তি রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিসিএসআইআর রাজশাহী গবেষণাগারে থাকাকালীন গাছ বিক্রিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।

সত্যজিৎ রায় রনি: ফ্যাসিষ্টদের দোসর হিসেবে শেখ হাসিনার সাথে শাহবাগ ও চকবাজার থানা মামলা থাকলেও, নুরুল হুদা ভূঁইয়া এবং হোসেন সোহরাবের খুটির জোরে এখনও ছড়ি ঘোরাচ্ছে। মো: বেনজির আহমেদ: নিয়োগে কোটি টাকার দুর্নীতি থাকলেও এবং মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলেও দুদকের চিঠি গায়েব। কাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন: অবৈধভাবে একাধিক পদোন্নতি নেওয়া মামুন সরকারী আইন উপেক্ষা করে আদম ব্যবসা করে সেই টাকা দিয়ে বিসিএসআইআরে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন।

হোসেন সোহরাবের প্রকল্পের দুর্নীতি: ডিপিসি সভার অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ কাজে প্রাক্কলিত ব্যয়ের অতিরিক্ত ব্যয় ও অতিরিক্ত কাজের আদেশ দেয়, যা বেআইনি। এই বিষয়ে অডিট আপত্তি হয় এবং টাকা দিয়ে তা ম্যানেজ করে। ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড (৬মাস) পূর্ণ হবার আগেই বিধিবহির্ভূত ভাবে ১০০% বিল প্রদান করেছে। গ)বিরাট আকারের লিফট ক্রয় করেছে পেশেন্ট বেড পরিবহনের জন্য। এই পর্যন্ত এর কোনো ব্যবহার নেই। হোসেন সোহরাবের সহযোগী সত্যজিৎ রায় সরকারি চাকরির বয়স পার হয়ে যাওয়ার পরে সে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা দিয়ে চাকরি নেয় । এই বিষয়ে বার বার অডিট আপত্তি হয় এবং টাকা দিয়ে তা ম্যানেজ করে।

এসব বিষয়ে ড. নুরুল হুদা ভূইয়া নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা দাবী করে বলেন, আমি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা লোক, ২০ জন সিনিয়রকে ডিঙিয়ে পদ বাগিয়ে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন আমি এই পদের যোগ্য বলেই কর্তৃপক্ষ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আর আপনার দেয়া তথ্যে অনেক ভুল রয়েছে।

(শীঘ্রই আসছে পর্ব ৩)

পর্ব ১ দেখতে ক্লিক করুন: https://dailysangbadbangladesh.com/archives/19612

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..