বরগুনার পরিচিত সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া পিন্টুকে একটি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। অথচ পিন্টু দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা রাখেননি বলে দাবি করেছেন।
“২৫ বছর রাজনীতি করিনি, তবু আমাকে জেলে পাঠানো হলো”—পিন্টুর ক্ষোভ
মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পিন্টু বলেন,
“আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে দূরে থেকে সমাজসেবা ও ব্যবসায় মন দিয়েছি । এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই ছিল আমার কাজ। অথচ এখন মিথ্যা মামলায় আমাকে জেলে যেতে হলো। এটা অন্যায়।”
পিন্টুর পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, একটি প্রভাবশালী মহল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে ফাঁসিয়েছে। তার স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার স্বামী কোনো রাজনৈতিক দলে নেই। তিনি মানুষের সেবায় জীবন কাটিয়েছেন। আমরা বিচার চাই।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, “পিন্টু ভাই একজন সৎ ও নিরহংকার মানুষ। ব্যবসার পাশাপাশি সমাজসেবার জন্য তার সুখ্যাতি রয়েছে। তাকে ফাঁসানো মানে এলাকার মানুষকে অপমান করা।”
দুই দশকের বেশি সময় ধরে সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত পিন্টুর বিরুদ্ধে মামলায় এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মামলা রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তারা বলছেন, “দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে রাজনীতি না করা একজন মানুষকে রাজনৈতিক মামলায় জড়ানো ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।”
প্রশ্ন উঠেছে—একজন জনপ্রিয় সমাজসেবক ও ব্যবসায়ীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হলো কেন? প্রশাসন কি নিরপেক্ষ তদন্ত করবে?