মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী):
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থ পটুয়াখালীর কলাপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে ) দুপুর ১২.৪০ ঘটিকায় তিনি সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠের জনসভা মঞ্চে উপস্থিত হন। এবং রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজার দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন। হাজার হাজার উচ্চস্বতী নেতাকর্মীর স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো কলেজ মাঠ।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসন করা হবে।বাড়িঘর নির্মাণসহ যা যা প্রয়োজন সব করে দেব ৷ অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসে যাদের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে তাদের এবং কৃষির ক্ষতি হওয়ায় তাদের বীজ ও সার দিয়ে প্রান্তিক চাষিদের পুনর্বাসনের আওতায় আনা হবে।আপনাদের পাশে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব৷ দুর্যোগ আসবেই, কিন্তু তা মোকাবিলা করেই টিকে থাকার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে৷ সেটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য৷
তিনি আরও বলেন, ‘ভেঙে যাওয়া বাঁধ পুনর্নির্মাণ করা হবে; যেখানে যেখানে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে সেগুলোও আবার বানিয়ে দেব৷ আমার ওপর আস্থা রাখুন।’দেশে বন্যা-ঝড় হয়েই থাকে, কিন্তু মানুষের জীবন বাঁচানোই বড় কথা৷ সম্পদ গেলে পাওয়া যায়, কিন্তু জীবন গেলে আর পাওয়া সম্ভব না৷ ধারাবাহিকভাবে দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই, দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারছি৷দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেটাই আমার সরকারের লক্ষ্য। সাধারণ মানুষের জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য যা যা দরকার, সবই করে যাচ্ছে সরকার৷
ত্রাণ বিতরণ শেষে কলাপাড়ার শেখ কামাল ব্রিজ পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা। এরপর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মেলনকক্ষে বরিশাল বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এবং বিকেল ৫টায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের হেলিপ্যাড থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল কুমার নন্দীর সভাপতিত্বে এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান মহিব,পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ,কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন,আফম বাহাউদ্দিন নাছিম,বরিশালের সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লা সহ আরো অনেক কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীরা।