শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংগঠিত মিথ্যাচারের খতিয়ান প্রকাশ বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য: সুপ্রিম কোর্ট আরাফার ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল বাংলাদেশি হাজীরা গুমের ঘটনায় প্রধান ভূমিকা পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি ও সিটিটিসি’র: তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন বরগুনার পাথরঘাটায় নাচনাপাড়ায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধে নৌবাহিনীর সহায়তায় সাকো নির্মাণ পরিবেশ রক্ষায় মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির কোরবানির ত্যাগে থাকুক পরিচ্ছন্নতার বার্তা নান্দাইলে অনাড়ম্বর পরিবেশে দৈনিক ইনকিলাবের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বরগুনায় জেলা প্রশাসনের উদ্দোগে ধূমপান ও তামাক বিরোধী এক কর্মশালা অনুষ্টিত সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের দপ্তর বিভাগের নতুন নেতৃত্বে হুমায়ুন কবির ও সালমান মাহমুদ

এশিয়া কাপে কেন হারলেন সাকিবরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২
  • ৬১৭১ বার পঠিত
প্রথমে ব্যাটাররা ডোবালো, পরের দিকে নাজিবুল্লাহকে আউট করতে পারলেন না বোলাররা, ফলে আফগানিস্তানের সঙ্গে হারতে হলো বাংলাদেশকে।

সাকিব আল হাসান ও শ্রীধরণ শ্রীরাম জুটি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সফল হলো না। শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর বাংলাদেশকেও সহজেই হারালো আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের জয়যাত্রা অব্যাহত। এখন তারা টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ভালো দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিবের এটা ছিল একশতম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই ম্যাচে ভালো বল করেছেন সাকিব। কিন্তু ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ। ঘাসহীন লো বাউন্সের উইকেটে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। সেই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের কোনো লাভ হয়নি।

ব্যাটিং ব্যর্থতা

বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই বিপর্যয়। দুই ওপেনার নইম ও আনামুল শুরুতেই আউট হয়ে যান। সাকিব করলেন ১১ রান। এই তিনজনই আফগান স্পিনার মুজিবের শিকার। মুশফিকুর ও আফিফ হোসেনকে ফেরান রশিদ খান। মাহমুদুল্লাহ ও মোসাদ্দেকের জুটিতে ৩৬ রান ওঠে। ৩০ বলে ৪৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। কিন্তু বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১২৭ রান তোলে। মুজিবের অফ স্পিন ও রশিদের লেগ স্পিনে বিভ্রান্ত হলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দুই বোলারই তিনটি করে উইকেট নেন।

নাজিবুল্লাহ ঝড়

আফগানিস্তানের একসময় স্কোর ছিল তিন উইকেটে ৬২। বাংলাদেশের বোলিং তখন বেশ ভালো হচ্ছে। সাকিব চার ওভারে ১৩ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু এই চাপটা পরের দিকে রাখতে পারলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। নাজিবুল্লাহ ১৭ বলে ৪৩ রান করলেন। সেই ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ। ইব্রাহিমও ৪২ রান করেছেন। এর মধ্যে নাজিবুল্লাহ ছিলেন সবচেয়ে আক্রমণাত্মক। ফলে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলতে আফগানিস্তানের কোনো অসুবিধা হয়নি।

সাকিব যা বললেন

ম্যাচের পর সাকিব বলেন, ”নাজিবুল্লাহ বিপজ্জনক ব্যাটার সেটা আমরা জানতাম। ও ম্যাচটা আমাদের কাছ থেকে বের করে নিয়ে গেল। আমরা উইকেট দেখে ভেবেছিলাম, ম্যাচ আমাদের হাতে। কিন্তু নাজিবুল্লাহকে পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছি, আফগানিস্তানের জয়ের জন্য।”

একই সঙ্গে নিজের টিমের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথাও বলেছেন সাকিব। তিনি বলেছেন, ”প্রথম সাত-আট ওভারে চার উইকেট হারালে জয় সবসময় কঠিন হয়ে যায়। উইকেট যা ছিল, তাতে আমাদের আরো ১০-১৫ রান প্রয়োজন ছিল। আফগানিস্তানের ইনিংসের ১৫ ওভার পর্যন্ত আমরা ম্যাচে ছিলাম। তারপর ওরা ম্যাচ বের করে নিয়ে যায়।”

আফগান অধিনায়কের বক্তব্য

আফগানিস্তানের অধিনায়ক নবি বলেছেন, ”রশিদ ও মুজিব বিশ্বমানের স্পিনার। ওদের জন্য প্রথম দশ ওভারের মধ্যে আমাদের হাতে ম্যাচের রাশ চলে আসে। আমাদের লক্ষ্য খুব বড় ছিল না। আমাদের কাছে চালিয়ে খেলার মতো ব্যাটার ছিল। আমরা উইকেট হাতে রাখতে চেয়েছিলাম। জানতাম যে উইকেট হাতে থাকলে জেতা সহজ হবে।”

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..