বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল অনিয়ম, ঘুষ,দুর্নীতির আখড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া। এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক। আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক। এনবিআরের শীর্ষ ১৭ কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক অযত্ন-অবহেলায় অস্তিত্ব সংকটে নলছিটির সম্ভাবনাময় হাড়িখালি গ্রাম হঠাৎ অস্থির ডালের বাজার, কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা প্রচলিত প্রতিহিংসার রাজনীতির পরিবর্তন করতে হবে: তারেক রহমান মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন: প্রধান উপদেষ্টা ‘সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত’ মুরাদনগরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু তারঘাট আনছারীয়া ফাজিল মাদরাসায় ফাজিল শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাশের উদ্বোধন

সিঙ্গাপুরের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬১৪৯ বার পঠিত

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করা প্রয়োজন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে উভয় দেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায় শিগগিরই নেগোসিয়েশন শুরু করা সম্ভব হবে।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় সফররত সিঙ্গাপুরের ট্রান্সপোর্ট, ট্রেড রিলেশনস এবং শিল্পমন্ত্রী এস ইসওয়ারানের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। এরপর বাণিজ্য সম্প্রসারণ, সেবা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মেমোরেনডাম অব কো-অপারেশন (এমওসি) স্বাক্ষর করা হয়।

পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মেমোরেনডাম অব কো-অপারেশন (এমওসি) বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

সিঙ্গাপুরের ট্রেড মন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গড়ে উঠছে। বাণিজ্য ও পর্যটন বৃদ্ধির জন্য এ বিমানবন্দর খুবই সহায়ক হবে। আইসিটি খাতে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশের পর্যটনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারণা বৃদ্ধি করতে পারে। বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাই-কমিশনারসহ সিঙ্গাপুরের ট্রেড মিনিস্টারের নেতৃত্বে আগত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া। এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক। আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের তথ্য অনুসন্ধান শেষে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণীর তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- এনবিআর সদস্য মো. লুৎফুল আজিম, সদস্য (আয়কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার কাজী মো. জিয়া উদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের ভ্যাট কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া। এছাড়াও রয়েছেন- কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, কর অঞ্চল ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা, বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল ১৬ এর উপ-কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (মূল্য সংযোজন কর) অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল ৩ এর কর কমিশনার এম এম ফজলুল হক। আক্তার হোসেন জানান, দুদকের তথ্যানুসন্ধান শেষে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনায় এসব কর্মকর্তাদের নিজ নামে বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির বৈধ উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের সম্পদ ও দায়-দেনার হিসাব বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এর আগে, গত ২৯ জুন এনবিআরের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের কথা জানায় দুদক। এরপর গত ১ জুলাই আরও ৫ জন ও ৩ জুলাই আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানায় দুদক।