বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
রাঙ্গাবালীতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন, সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম কক্সবাজারে বিতর্কিত ব্যবসায়ী জসিমের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ বেতাগীতে চাঁদাবাজী ও সালিশ-বানিজ্য রুখতে বিএনপি’ র মাইকিং যেকোনো মূল্যে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকার বদ্ধ পরিকর : শারমীন এস মুরশিদ দাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ দাভোসে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক : তুলে ধরা হবে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান শীর্ষস্থানীয় বিশ্ব নেতাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক : চুরি যাওয়া সম্পদ ফেরত পেতে সহায়তা কামনা ভালবাসা এমনি হয়: রিমি কবিতা বেগম ফায়জুন্নেসা মহিলা ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী বামনা উপজেলা শাখার কমিটি গঠন সভাপতি নেছার, সম্পাদক এনামুল

চরমোনাই ময়দান আত্মশুদ্ধির উর্বর ভূমি

জুবায়ের আহমাদ জুয়েল (কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি):
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৯৭১ বার পঠিত
জুবায়ের আহমাদ জুয়েল:
পৃথিবীতে মানুষ বিচরন করতে গিয়ে নানান কাজে লিপ্ত হয়ে যায়। মনের অজান্তে নিজেকে বিপথের দিকে ধাবিত করে। কিন্তু সে জানেনা কোনটি আলোকিত পথ আর কোনটি অন্ধকার। অন্ধকারের পথ থেকে মানবজাতিকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছে খোদা প্রদত্ত কিছু সংখ্যক পথপ্রদর্শক। কথিত আছে আদম (আ:) থেকে শুরু করে শেষ বার্তাবাহক হযরত মুহাম্মাদ (সা:) পর্যন্ত আল্লাহ প্রদত্ত প্রতিনিধি প্রেরণের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, আর কোন প্রতিনিধি আসবে না। অতএব  পরবর্তী আলেম-উলামাগণ তাদের দেখানো পথে মানবজাতিকে পরিচালিত করবেন।
সেই ধারাবাহিকতায় বঙ্গদেশের অসংখ্য আলেম-উলামাগণ যুগের পর যুগ পথ ভুলা মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করছেন। পতিথযশা আলেম শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. আল্লামা আজিজুল হক রহ. মুফতি ফজলুল হক আমীনী রহ. আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ. আল্লামা আতহার আলী রহ. আযহার আলী আনোয়ার শাহ রহ. আল্লামা নূরুদ্দীন গহরপুরী রহ. সহ প্রমুখ আলেম-উলামা’র নাম সর্বজন স্বীকৃত।
সর্বমহলে সু-পরিচিত এমনি একজন পতিথযশা আলেম বাংলাদেশের বরিশাল জেলার চরমোনাই নামক স্থানে প্রতি বছর আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্বশুদ্ধির বাস্তব প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকেন। তিনি হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) আমীর  মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ও তার সহোদর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। (নায়েবে আমীর)
ঐতিহাসিক এই মাহফিলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন (দাদা পীর) মাও. সৈয়দ ইসহাক রহ.। তারপর মাও. সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল কারীম (বর্তমান পীরের পিতা) এই দরবারের কার্যক্রম সম্প্রসারন করেন।
মাহফিলে উদ্বোধনী বক্তব্য সহ মূল বক্তব্য হয় সাতটি। চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পাঁচটি  ও নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম দু’টি। মাহফিলে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়েকেরাম, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দেওবন্দ, মধ্যপ্রাচ্য, তুরষ্ক সহ বিভিন্ন দেশের আলেম-উলামাগন আগমন করেন।
মুসল্লিদের জন্য প্রায় তিনশ একর জমির উপর মোট ছয়টি মাঠে প্রায় দশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সামিয়ানা টানানো হয়।
মাহফিলে আগত মুসুল্লিদের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য একশত শয্যাবিশিষ্ট চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..