বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেতাগীতে স্লুইস নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় কৃষকদের দুর্ভোগ : ফসল আনাবাদী পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এ বছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে পাশে রাখুন : তারেক রহমান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায় ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি অপতথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘকে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ডিপিএড প্রশিক্ষণের বকেয়া ভাতায় শিক্ষক নেতাদের ঘুষ বানিজ্য আমতলীতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা! লঞ্চের ধাক্কায় নিখোঁজ রায়হানের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের আর্থিক অনুদান তালতলীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, নৌবাহিনীর ব্যাপক লাঠিচার্জ

বরগুনায় ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু অভিযোগ

বরগুনা প্রতিনিধি:
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৭৫৩ বার পঠিত

বরগুনায় ভুয়া ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় বায়জিদ (১৩) নামের ৬ষ্ঠ শ্রণীতে পড়ুয়া এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । বায়জিদ বরগুনা সদর উপজেলার বরগুনা ইউনিয়নের কালিরতবক গ্রামের মামুন মুছুল্লির বড় ছেলে। সে আমতলি উপজেলার চরকগাছিয়া দিনিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র।

জানা যায়, গত রোববার দুপুর ১ টায় বায়জিদের প্রচন্ড জ্বর হলে তার বাবা মামুন মুছুল্লি বরগুনার হাতুড়ে ডাক্তার বিধান রঞ্জন এর কাছে নিয়ে যায়। ভুয়া ডাক্তার বিধান বায়জিদকে কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই হাই এন্টিবায়োটিক ওষুধ লিখে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। ওই ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ বায়জিদকে সেবন করালে রাত ১টায় শিশু বায়জিদের মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার  ওই এলাকার ডাক্তার এস এম শামসুল আরেফিন বলেন, একজন জ্বরের রোগীকে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিধান রঞ্জন কিভাবে হাই এন্টিবায়োটিক দিলেন এটাই ভাবার বিষয়। কারও জ্বর হলে তাকে আগে হাসপাতালে ভর্তি করে তারপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু পজেটিভ কিনা অথবা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা সেটা জেনে তারপর ব্যবস্থাপত্র দিতে হবে। এক্ষেত্রে বায়জিদের জ্বরের ব্যাপারে কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই  বিধান বাবু কিভাবে ব্যবস্থাপত্র দিলেন সেটা আমার বোধগম্য নয়। এটা নিঃসন্দেহে অপ চিকিৎসা।

এছাড়া গত দুইদিন আগে বরগুনার  সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরীয়ত উল্লাহ  ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বরগুনায় তিন জন ভুয়া চিকিৎসককে  এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন এবং একজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। ওই জরিমানাকৃত তিনজনের মধ্যে একজন বিধান রঞ্জনকেও এক লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে মুচলেকা দেন যে, তিনি আর কখনো চেম্বারে বসবেন না এবং রোগী দেখবেন না। এ ঘটনার পরেও ভুয়া ডাক্তার বিধান রঞ্জন কিভাবে চেম্বারে বসে রোগী দেখেন এবং এর খুঁটির জোড় কোথায় এটাই জনমনে প্রশ্ন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..