পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার পক্কিয়া ফতুল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র্যাব-৮ এর একটি সরকারি মাইক্রোবাস ও লোকাল পরিবহন বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা–কুয়াকাটা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যাচ্ছিল র্যাব-৮ এর সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা একটি সরকারি মিনিবাসে। এ সময় কুয়াকাটা থেকে বরিশালগামী ধানসিঁড়ি পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে র্যাবের গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে র্যাবের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মিনিবাসের চালক নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও এক শিশু মারা যায়।
দুর্ঘটনার শব্দে আশপাশের দোকানদার, স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা ছুটে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর পটুয়াখালী থেকে র্যাব-৮, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
আহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে এবং তাঁদের অধিকাংশই র্যাব সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্য। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তবে ধানসিঁড়ি পরিবহনের বাসে থাকা কোনো যাত্রী আহত হননি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনার পর পুলিশ ধানসিঁড়ি নামের বাসটি জব্দ করেছে, তবে বাসটির চালক ও সুপারভাইজার পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনাস্থলটি একটি ব্যস্ত বাসস্ট্যান্ড এলাকা হওয়ায় রাস্তার পাশে অটোরিকশা ও রিকশা দাঁড়ানো ছিল। র্যাবের মিনিবাসটি গতি কমিয়ে এগোলেও বিপরীত দিক থেকে আসা ধানসিঁড়ি বাসটি অতিরিক্ত গতিতে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে র্যাবের গাড়ির সামনের অংশ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।