বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক বেতাগীতে জাকের পার্টির সাংগঠনিক জনসভা ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত কেন্দুয়া আটপাড়া বিএনপিতে জনমত জরিপে এগিয়ে দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া দুলাল রংপুরে মাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড আমতলীতে স্কুল শিক্ষককে অপহরণ করে বর্বর নির্যাতন, পানির বদলে প্রস্রাব খাওয়ানোর অভিযোগ তাড়াইলে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত মোরেলগঞ্জে লগী-বৈঠার ভয়াল হত্যাযজ্ঞে শহীদদের স্মরণে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল সওজ কর্মচারীদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে দেশব্যাপী আন্দোলন: পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি মোরেলগঞ্জে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, ঐক্য আর উদ্দীপনায় মুখর পুরো শহর রংপুরে জাপা ছেড়ে বিএনপিতে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান

পটুয়াখালীতে রূপালী ব্যাংকের অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫৭৯২ বার পঠিত
পটুয়াখালীতে রূপালী ব্যাংকের অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন-------------------- ছবি: সংগৃহীত

রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় কর্মকর্তাদের অনিয়ম ও অসহযোগিতার কারণে একটি অনুমোদিত প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে এবং সম্প্রতি বিনা নোটিশে উচ্ছেদের নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক নাজির মোঃ আশরাফ আলী।

(২৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার সন্ধায় পটুয়াখালী জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে উপস্থিত হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আশরাফ আলী বলেন, রূপালী ব্যাংক, নিউটাউন শাখা, পটুয়াখালীর তৎকালীন ম্যানেজার ও এজিএম-এর অনুরোধে তিনি তার পরিবারের ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর একটি হোটেল প্রকল্পের জন্য ঋণ নেন। প্রধান কার্যালয় থেকে মোট ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন হয়। কিন্তু স্থানীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়ম, অর্থ ছাড়ে গড়িমসি ও স্বার্থসিদ্ধির কারণে প্রকল্পটি জটিলতায় পড়ে। এমনকি প্রকল্পের অর্থ থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনাও ঘটে, যা পরে চাপের মুখে ফেরত দেওয়া হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে প্রধান কার্যালয়ের পরামর্শে হোটেল প্রকল্পের পরিবর্তে হাসপাতাল প্রকল্প গ্রহণের আবেদন করা হয়। স্থানীয় চিকিৎসক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গও এতে সমর্থন দেন। কিন্তু স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের অসহযোগিতার কারণে এ উদ্যোগও ব্যর্থ হয়।

আশরাফ আলীর অভিযোগ, প্রধান কার্যালয় থেকে বরাদ্দ অর্থ ছাড় না দিয়ে স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা একের পর এক নোটিশ জারি করে প্রকল্প বাতিল ও ভবন নিলামের চেষ্টা চালান। এ পরিস্থিতিতে তিনি হাইকোর্টে রীট দায়ের করলে আদালত নিলাম স্থগিত করেন।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আজ (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বিনা নোটিশে ব্যাংক কর্মকর্তা, আইনজীবী ও পুলিশ আমার বাড়িতে এসে উচ্ছেদের নামে ঢাকঢোল পিটিয়ে তাণ্ডব চালায়। এতে ভবনের মধ্যে অবস্থিত মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ ১৫টি ভাড়াটিয়া পরিবারের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন নারী-পুরুষ-শিশু আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।”

ঘটনার সময় তিনি ব্যাংক ও আদালত কর্তৃপক্ষের কাছে নোটিশ দেখতে চাইলে কোনো প্রকার নথি দেখাতে পারেনি বলেও দাবি করেন।

আশরাফ আলী এ ঘটনাকে “অমানবিক ও নিন্দনীয়” আখ্যা দিয়ে সরকারের কাছে, প্রশাসনের কাছে এবং আইনের কাছে যথাযথ বিচার ও সুরক্ষা কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, সব প্রমাণপত্র তার কাছে সংরক্ষিত আছে এবং প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..