কুড়িগ্রাম জেলা রাজিবপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বছরে প্রায় ৯শ থেকে ১ হাজার দলিল সম্পাদিত হয়। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এ অফিস থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে মোট ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৯ হাজার ১৪১ টাকা (দুই কোটি পনের লক্ষ ঊননব্বই হাজার একশত একচল্লিশ টাকা)।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি অফিস আজও পরিচালিত হচ্ছে একটি পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে— যা আগে পুরনো জেলখানা বা হাজতখানা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ভবনটির ছাদের কিছু অংশ ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়েছে, বহু স্থানে পানি ঝরে পড়ছে, ভিতরে পর্যাপ্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেরও ব্যবস্থা নেই।
অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আগত জনগণ প্রতিদিনই মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ও সেবা নিচ্ছেন। স্থানীয় জনগণের দাবি— জরুরি ভিত্তিতে এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ করে একটি আধুনিক ও নিরাপদ নতুন ভবন নির্মাণ করা হোক।
এ বিষয়ে প্রশাসন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন চর রাজিবপুরবাসী, যাতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়।